ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:১৮:৩৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

বাজারে রোজার উত্তাপ শুরু

সালেহীন বাবু | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:৩৩ পিএম, ১০ মে ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রোজা আসতে আর মাত্র দেড় সপ্তাহ বাকী। এরই মধ্যে বাজারে লেগেছে রোজার হাওয়া। রাজধানীর কাচা বাজারগুলোতে ক্রেতা সমাগম যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কিছু কিছু পণ্যের দামও। গত দুই সপ্তাহের মত আজও কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে ছোলার দাম অনেকটাই স্থিতিশীল। আর অপরিবর্তিত রয়েছে বেসন, সয়াবিন ও খেজুরের দাম।

 

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার এবং রাজধানীর অন্যান্য বাজারগুলো পর্যবেক্ষণ করে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।


কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে এখন ৩৮ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে। তবে, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে।

 

পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা জুলফিকার আলী বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি ছিল। এখন তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩৮ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ আগে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। আর এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। রোজার আগে মানুষ পেঁয়াজ কিনে মজুদ করে রাখছে। আবার বড় বড় ব্যবসায়ীরাও সারাবছরের জন্য পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছেন। ফলে বাজারে দাম বেড়েছে।

 

একই রকম তথ্য জানান আরেক বিক্রেতা শহীদুল ইসলামও। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা। বাজারে বেড়েছে সবজির দামও। রোজার মধ্যে যে সব্জি বেশি লাগে যেমন আলু, বেগুন, শশা, কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা। বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মধ্য বাড্ডা গুদারাঘাট বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আক্তার ওমেননিউজকে বলেন, শবেবরাতের কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে এখন সবজি নেই। আমাদের আগের চেয়ে বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।


এদিকে, রোজার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে তা বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে তা ৯০ টাকা পর্যন্তও বিক্রি হচ্ছে। ডাবলি মটর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। মসুরের ডাল ৬০ থেকে ৯০ টাকা ও খেজুর ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

গুলশান কাচা বাজারে মনোহারি দোকানের এক বিক্রেতা লাল চান বলেন, কোনো কিছুরই দাম বাড়েনি। বরং কমেছে। শুধু একমাত্র জিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। মুড়ি পাইকারি বাজারে রকমভেদে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা,খুচরা বাজারে রকমভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


অন্যদিকে আসন্ন রমজান উপলক্ষে রোববার থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ঢাকাসহ সারাদেশে স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। এবার বেশ কিছু পণ্য যেমন ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, ছোলা এবং খেজুরের দাম নির্ধারন করে দিয়েছে টিসিবি। একজন ভোক্তাকে ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৫৫ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৪ কেজি মসুর ডাল (মাঝারি সাইজ), প্রতি লিটার ৮৫ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ লিটার সয়াবিন তেল, প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি ছোলা এবং প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ১ কেজি খেজুর কিনতে হবে। মোট ১৮৪ টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে সারাদেশে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।