ঢাকা, রবিবার ০৭, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৬:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক আরও পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোসকপি সম্পন্ন, থামানো গেছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ আগারগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৬ প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল এক লাখ ৯৩ হাজার

বিস্মৃতির আড়ালে সুমিতা দেবী

শিহাব শাহীন | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৭:৫৩ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার

বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেছেন ষাটের দশকের ব্যস্ততম অভিনেত্রী-সুমিতা দেবী। মানিকগঞ্জের মেয়ে সুমিতা। মা-বাবার দেয়া নাম ছিল হেনা ভট্টাচার্য।

 

প্রায় চার দশক ধরে প্রসারিত সুমিতার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে। বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ফতেহ লোহানীর আসিয়া (১৯৫৭) ছবির মাধ্যমে। আসিয়া ছবিতে অভিনয় করার সময়েই ফতেহ লোহানী হেনার নাম পাল্টিয়ে নতুন নাম দেন `সুমিতা দেবী’। আসিয়া ১৯৬১ সালে শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।

 


গত শতকের ষাটের দশকে ঢাকার চলচ্চিত্র জগতের ব্যস্ততম অভিনেত্রী সুমিতা দেবী পঞ্চাশের অধিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন এবং পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন আরো শতাধিক চলচ্চিত্রে।

 

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে, কখনো আসেনি (১৯৬১), সোনার কাজল (১৯৬২), কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩), এই তো জীবন (১৯৬৪), দুই দিগন্ত (১৯৬৪), আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭), অভিশাপ (১৯৬৭), এ দেশ তোমার আমার, বেহুলা, ওরা ১১ জন ও আমার জন্মভূমি। সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন ২০০০ সালে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ফুলকুমার ছবিতে।

 

বাংলা ছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া আগুন নিয়ে খেলা, মোমের আলো, মায়ার সংসার, আদর্শ ছাপাখানা ও নতুন প্রভাত নামে পাঁচটি চলচ্চিত্র তিনি প্রযোজনা করেন।

 


অমূল্য লাহিড়ীর সাথে সুমিতা দেবীর প্রথম বিয়ে হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের পর পরই তিনি ঢাকার চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম পথিকৃৎ, ধীমান চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের সংস্পর্শে আসেন। সুমিতা দেবী ১৯৬১ সালে নিলুফার বেগম নাম নিয়ে জহির রায়হানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অবশ্য চলচ্চিত্র জগতে পূর্বের সুমিতা দেবী নাম নিয়েই পরিচিত ছিলেন।

 


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সুমিতা দেবী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। অভিনয় দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৬২ সালে অল পাকিস্তান ক্রিটিক অ্যাওয়ার্ড এবং ১৯৬৩ সালে নিগার প্রাইজ সম্মানে ভূষিত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাচসাস পুরস্কার এবং টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ পুরস্কার লাভ করেন।

 

২০০৪ সনের ৬ জানুয়ারি সুমিতা দেবী প্রয়াত হন।