ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:০১:২৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

শুকিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের অধিকাংশ জলাশয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ২০ মে ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বের অর্ধেকের বেশি জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে, সম্প্রতি এক রিপোর্টে এই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। এর ফলে চরম পানিরকষ্টের আশঙ্কা তৈরি হবে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল বৃহস্পতিবার তাদের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে। সায়েন্স জার্নালে তারা গবেষণার তথ্য তুলে ধরেছেন।

তাদের দাবি, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জলাশয় শুকিয়ে গেছে বা শুকিয়ে যাওয়ার মুখে। এর একটি কারণ অবশ্যই উষ্ণায়ন। তবে তার চেয়েও বড় বিষয় হলো মানুষের হঠকারিতা। একের পর এক জলাশয় বুজিয়ে ফেলা। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানের গবেষক ফ্যাংফ্যাং ইয়াও এই গবেষণা দলের প্রধান।

তাদের মতে, ১৯৯০ সালের পর থেকে ক্রমশ লেক এবং বড় হ্রদগুলি শুকোতে শুরু করেছে। কোনো কোনো জলাশয়ে প্রতি বছর ২২ গিগাটন করে জল শুকিয়ে যাচ্ছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে বহুগুণ। এর একটি কারণ, মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ জল তুলে নিচ্ছে। সেই পরিমাণ জল নতুন করে আর জমছে না। দুই, বিশ্ব উষ্ণায়ন।

জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম মাপকাঠি গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধি। এর ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বদলে গেছে। আগে যেখানে যেমন বৃষ্টি হতো, এখন তা হচ্ছে না। এর ফলে স্বাভাবিক হ্রদগুলির পলি আগে যেভাবে জমতো, এখন তা বদলে গেছে। হ্রদ এবং জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ার এটাও একটা কারণ।

বিশ্বের দুহাজার জলাশয় এবং হ্রদ পর্যবেক্ষণ করে এই রিপোর্ট লেখা হয়েছে। ১৯৯২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই হ্রদ এবং জলাশয়গুলির স্যাটেলাইট ছবি পরীক্ষা করা হয়েছে। এবং সেখান থেকেই এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে না পারলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও হ্রদ এবং জলাশয় শুকিয়ে যাবে। একইসঙ্গে বদলাতে হবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি।