ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:২৩:৩৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

স্বামীর পর গ্রেপ্তার দ. কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৫ বুধবার

ছবি: সংগ্রহিত।

ছবি: সংগ্রহিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে কারসাজি ও ঘুষ গ্রহণসহ একাধিক অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

তার স্বামী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল-ও এখন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী একই সময়ে কারাগারে বন্দি হলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ৫২ বছর বয়সী কিম মঙ্গলবার আদালতে চার ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সিউল আদালত প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কায় দিনের শেষে তাকে আটক রাখার পরোয়ানা জারি করে।

কিমের স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত বছর ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনা দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কিম ডয়েচ মোটর্স নামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিএমডব্লিউ ডিলারের শেয়ারমূল্য কারসাজির মাধ্যমে ৮০০ মিলিয়ন উওন (প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ মার্কিন ডলার) অবৈধভাবে আয় করেন। যদিও ঘটনাটি তার স্বামী প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই ঘটেছিল, তবে পুরো মেয়াদ জুড়ে এ অভিযোগ তার স্বামীর প্রেসিডেন্সিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছিল।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের কাছ থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে দুটি শ্যানেল ব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। অন্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে— ২০২২ সালের সংসদীয় উপনির্বাচন ও গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ।

বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার কালো স্যুট ও স্কার্ট পরে গম্ভীর মুখে আদালতে হাজির হন কিম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই, তবুও সমস্যার সৃষ্টি করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইউন কিমের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য বিরোধী দলের আনা বিশেষ কাউন্সেল বিল তিনবার ভেটো দেন। এর মধ্যে শেষ ভেটোটি ছিল গত বছরের নভেম্বরে। সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ আগে সেই ভেটো দিয়েছিলেন তিনি।

আর চলতি বছরের জুনে ইউনের প্রতিদ্বন্দ্বী লি জে মিয়ং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিশেষ কাউন্সেল গঠন করা হয়।