ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৪৭:১৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম

সালেহীন বাবু | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৯:৫৫ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি ও বন্যার অজুহাতে আবারও ব্যবসায়িরা সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আকার ভেদে সব ধরনের সবজিতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজার ,মীরপুর-১ নম্বর বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে সবজি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা- যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। শসা ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। গাজর ৬৫-৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। বেগুন মান ও বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা। ফুলকপি ৭০ ও বাঁধাকপি ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, আকার ভেদে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ আকার ভেদে ৪০-৪৫ টাকা, আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা। আদা ১০০-১১০ টাকা ও রসুন ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

শান্তিনগর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা স্বপন বলেন, এ সপ্তাহের শুরু থেকে সবজির দাম একটু বেশি। কারণ পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম। বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে সবজি আনতে পরিবহন খরচ দ্বিগুণ দিতে হয়।

 

অথচ আজ সরেজমিন রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা যায় সব ধরনের সবজির সরবরাহ দেখা গেল।

 

রাজধানীর মীরপুর -১ নম্বর কাচা বাজারে সবজি কিনতে আসা ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ জানান, ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ায়। আর আমরাও কিনি। কারণ তারা ভালমতই জানে আমাদের আর করার কিছুই নাই। আমাদের কিনতেই হবে।


বাজারে হঠাৎ করেই সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। রোজার ঈদের সময় কেজিপ্রতি মানভেদে এলাচের দাম ছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯২০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। দারুচিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬৮ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা। জয়ফল ছিল ৫৫০ টাকা, বর্তমানে ৬০০-৬৫০ টাকা। এ ছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা জিরা প্রতি কেজির দাম ছিল ২৮৩-৩০০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৩৫ টাকা। সিরিয়া থেকে আমদানি করা জিরার দাম ছিল ৩৯০ টাকা, বর্তমানে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চীন থেকে আমদানি করা জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৯৫ টাকা। আর ১১০ টাকা কেজির মিষ্টি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। এ ছাড়া কেজিপ্রতি লবঙ্গ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯৫০, সাদা গোলমরিচ এক হাজার ২০০ টাকা, জয়ত্রী ২ হাজার ১০০ টাকা, ধনিয়া ১০০-১২০ টাকা, ভারতীয় হলুদ ২১৫ টাকা, ভারতীয় মরিচ ১৫০ টাকা, দেশি শুকনা মরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

 

এখনও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। মিনিকেট ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।


ডিমও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ডিম ভেদে প্রতি ডজনের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে মাংসের বাজার স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ২০০ টাকা এবং গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

 

আজ রাজধানীর বাজারে রুই ও কাতলা প্রতি কেজি ২৪০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, বড় আকারের চিংড়ি প্রতি কেজি এক হাজার, মাঝারি ৭০০ টাকা ও সরপুঁটি ১৪০ টাকা, ছোট আকারের চিংড়ি ৫১০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৫০ টাকা, কই ১৪৫-১৫৫ টাকা, সিলভার কার্প ১০০-১৩০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০ টাকা, নলা ১৩০-১৪০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাচমিশালী মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।