বৃষ্টি এমন একটানা যে কাঁদে,/
জল জমে যায়, রাস্তা,ঘাটে/
ফুলের টবে, ছাদে!

আকাশে আজকে কালো মেঘের পসরা/
এক অপরূপ র্ধোঁয়াটে ধূসর রূপ/ 
থেমে থেমে বৃষ্টির বিরামহীন ঝরা/
কখনো অশান্ত আবার কখনো চুপ।

রাজধানীর বিজয় সরণীর মোড়ের সিগন্যালে দেখা মেলে কুলসুমের। বয়স কত হবে! বড় জোড় দশ কি এগারো। ওরা একই বয়সি কয়েকটি মেয়ে দল বেঁধে ফুল বিক্রি করে এই মোড়ে।

ছোট্ট খোকা স্বপ্নে সেদিন গেল পরির দেশে
শুভ সম্ভাষণ জানাল হাজার পরি এসে।
পরিরা তো বড্ড খুশি মানবখোকা পেয়ে
সবাই মিলে কী আনন্দ করল নেচে-গেয়ে!

শ্যামলাবরণ গাঁয়ের মেয়ে নাকে নথ
ইশকুলেতে যাচ্ছে হেঁটে অনেক পথ
মাঠ পেরিয়ে ঝোঁপ এড়িয়ে বাড়ছে বেলা
সাথে সাথে যাচ্ছে শাদা মেঘের মেলা।

আঙ্গা মাঙ্গা চাঙ্গা
তিন বানরে ঝগড়া করে নদীর ব্রিজ ভাঙ্গা!
ভাঙ্গা ব্রিজে যায় না গাড়ি
তিন বানরে পায় না বাড়ি
নদীর বুকে জলের ঢেউ সাঁত্রিয়ে যায় ডাঙ্গা।

বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে, নেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?

মা কি ভোরের পাখি, রোদের ঝিকিমিকি
নাকি স্বপ্নে পাওয়া সোনারঙের সিকি
নাকি চৈত্রদিনের বটের সবুজ ছায়া
নাকি জোছনারাতে মউল বনের মায়া?

খাই না খাই! ঘুরে বেড়াই
সবার ধারে ধারে,
পেটের দায়ে খুজি টাকা
খোঁচাই বারে বারে।

বাড়ির পাশে তেতুল গাছে একটা ছিল ভূত
তার নীচে সব ছেলে মেয়ে রোজ খেলে কুত কুত।
গাছের পাশেই পুকুর ছিল, পুকুর ভরা মাছ
সেই পুকুরে ছায়া ফেলে ভূতু তেতুল গাছ।