ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৫:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

এসো হে নবীন এসো, স্বাগতম ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৩:৩০ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০১৮ সোমবার

বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮। আজ সোমবার ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন। বর্ষ পরিক্রমায় আরো একটি নতুন বছর আজ আমাদের জীবনে এলো। বিশ্ববাসী নতুন বছরের প্রথম এই দিনটিকে বরণ করতে প্রতি বছরের মত এইবারও বরণডালা সাজিয়েছে।

নতুন বছর সকলের জীবনে বয়ে আনুক, সুখ, শান্তি, কল্যাণ ও ভালোবাসা। মুছে যাক মব জরা-কান্তি ও অকল্যাণ। সফলতা ও আনন্দ ধারায় ভরে উঠুক জীবন-মন-প্রাণ। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির বারতা। শেষ হোক যুদ্ধ-হত্যা-বিদ্বেষ। নতুন সূর্যের আলো নিয়ে আসুক নতুন বারতা। শুভ ইংরেজি নববর্স।

ইংরেজি নববর্ষের আবেদন ও আবাহন বলতে গেলে বিশ্বের বৃহত্তর বা বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনের গতিধারার সাথে আজ সম্পৃক্ত। বিশ্বব্যাপী ইংরেজি নববর্ষের এমন আবেদন বা প্রভাব সৃষ্টি হওয়ার পিছনে ইতিহাস আছে, এটি একদিনে তৈরি হয় নাই। যিশু খ্রিস্টের জন্মতারিখ হতে যে দিন-ক্ষণ-মাস-বছরের হিসাব শুরু হয়েছিল সেটাই আজ ইংরেজি বর্ষ হিসাবে স্বীকৃত।

এক সময় বৃটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেতো না। অর্থাত্, বিশ্বের এক বিশাল অংশ ছিল বৃটিশ শাসনাধীনে। ফলে ইংরেজ জাতির উদ্ভাবিত নানান প্রযুক্তি জ্ঞান-শিক্ষা-দীক্ষা প্রর্ভতির প্রভাব তার অধীনস্থ দেশসমূহের উপর ব্যাপকভাবে পড়েছে তাতে সন্দেহ কী। এর দরুন অধীনস্থ দেশসমূহের অনেকেরই নিজস্ব পঞ্জিকা বা বর্ষ থাকলেও ইংরেজ প্রভাবাধীনে কালক্রমে সেটা গৌণ হয়ে পড়ে। তার দরুন ইংরেজি নববর্ষ ঐসব দেশের মানুষের জীবনের চালচিত্রে ব্যাপক ছাপ রাখতে সক্ষম হয়। আমরা এই উপমহাদেশের বাঙলা অঞ্চলের বাসিন্দারা বৃটিশদের আগমনের পূর্বে বাংলা সন বা হিজরি সন অনুসরণে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু বৃটিশ শাসনের অধীনস্থ হওয়ার পর হতেই সাল গণনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ইংরেজ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রভাব বলয়ের আওতাভুক্ত হয়ে পড়তে থাকি। তার ফলে ধীরে ধীরে আমাদের জীবন হতে বাংলা বা হিজরি সনের আবেদন কিংবা প্রভাব হারিয়া যেতে থাকে।

ইংরেজি নববর্ষ আমাদের নিজস্ব সম্পদ না। সভ্যতার ক্রমবিকাশ ধারায় আমরাও ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ও মৌলিকত্বের প্রমাণ রেখে এসেছি। বাংলা সন যদিও মোগল সম্রাট আকবরের সময় চালু হয়েছিল, তথাপি তা বিশেষত আমাদের গ্রামীণ জীবনকে বহুলাংশে প্রভাবিত করেছে। ফসল উত্পাদন আর ঋতুবৈচিত্র্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এ বাংলা সনের আমেজ আজও পল্লী জীবনে অনুভূত হয়। যদিও আমাদের নাগরিক জীবনের পরতে পরতে ইংরেজি সনেরই প্রভাব-প্রতিপত্তি লক্ষণীয়।

ইংরেজি শিক্ষা-সংস্কৃতি মূলত: ইংরেজ জাতির বিশ্বময় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণেই ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। ফলে ইংরেজি সন-তারিখকে এখন আর এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নাই। তাই ইংরেজি নববর্ষ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি-জাত বিষয় না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের জীবনের সর্বত্রই তার প্রভাবকে আজ আর অস্বীকারের পথ খোলা নাই। হিজরি সন, বাংলা সন মুসলিম অধ্যুষিত এই বাংলাদেশে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উত্সবের সাথে এক সূত্রে গাঁথা রয়েছে। ফলে ঈদ, মহরম, রোজা, শবেবরাত ইত্যাদিও বাংলা নববর্ষ কিংবা চৈত্রসংক্রান্তি, ফসল কাটার উত্সব, শারদীয় দুর্গোত্সব, প্রবারণা পূর্ণিমা, দোল উৎসব ইত্যাদি নানান উৎসব পালিত হয় এই বাঙলায় ঐ বাংলা সন ও হিজরি সনকেই কেন্দ্র করে।

ইংরেজি নববর্ষের এই দিনে কামনা করি সকলের সুখ ও সমৃদ্ধি। নতুন বছরের প্রতিটি দিন হক সুন্দর, অনাবিল ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ।