ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪১:৫২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

খালেদা জিয়াকে সিঙ্গাপুর নিতে চায় পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ৪ মে ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সোমবার ভোরের দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বিকালে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তিনি কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে  তিনি স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন বলে সোমবার রাত ৮টায় জানিয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন। কিন্তু এরপর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে তার পরিবার সিঙ্গাপুরে নিতে চায় বলে জানান।

বিএনপি সূত্র জানায়, সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে আলাপ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়ে বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারের অন্যাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে জানানো হবে।

এ ব্যাপারে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে গণমাধ্যম থেকে টেলিফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শরীফ মাহমুদ বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাননীয় মন্ত্রীকে ফোন দিয়েছিলেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যগত বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো লিখিত আবেদন দেননি।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে লিখিত কোনো আবেদন এখনও করা হয়নি।

এদিকে রাত ৮টার দিকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গুরুতর কিনা, তিনি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে  ডা. জাহিদ বলেন, করোনারি কেয়ার ইউনিটে যখন যে রোগী থাকেন তারা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেন। আমি উনার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে কথা বলে এসেছি। ম্যাডাম স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, সোমবার ভোরে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এর পরপরই বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হয়। পরে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্তে ম্যাডামকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। তার রোগমুক্তির জন্য খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।

কি কারণে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষের যে কোনো সময়, যে কোনো পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ম্যাডামের সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী যে চিকিৎসকরা  আছেন তাদের সিদ্ধান্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে খালেদা জিয়ার আবারো করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান ডা. জাহিদ হোসেন।

৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে আরো দু' দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে  ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার সঙ্গে বাইরের কারো যোগাযোগ সীমিত।

-জেডসি