ঢাকা, রবিবার ১৯, মে ২০২৪ ৫:৫০:২৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ফের অস্থির ডিমের বাজার এক সপ্তাহ পরে বাজারে আসবে দিনাজপুরের লিচু ভিসা অনিশ্চয়তায় ৪ হাজারের বেশি হজযাত্রী রাজধানীতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগি বিচ্ছিন্ন সৌদি আরবে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু ঢাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবনে স্বস্তি

গ্রহাণুর নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করতে যাচ্ছে প্রোব

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৩ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সাত বছরের মহাকাশ যাত্রা শেষে এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা বৃহত্তম গ্রহাণুর নমুনা বহন করে রোববার নাসা’র ক্যাপসুল উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এটি আমাদের সৌরজগতের গঠন এবং কীভাবে পৃথিবী বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে সে সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা দেবে।

পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে ওসিরিস-রেক্স প্রোবের চূড়ান্ত অগ্নিগর্ভ অবতরণ বিপজ্জনক হবে। তবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা উত্তর-পশ্চিম উটাহে একটি সামরিক পরীক্ষার পরিসরে স্থানীয় সময় সকাল ৯:০০ টার দিকে (১৫এইচ ০০ জিএমটি) এটির নিরাপদে অবতরণ আশা করছে।

২০১৬ সালে উৎক্ষেপণের চার বছর পর, প্রোবটি গ্রহাণু বেন্নুতে অবতরণ করে এবং এর পাথুরে পৃষ্ঠ থেকে প্রায় নয় আউন্স (২৫০ গ্রাম) ধুলো সংগ্রহ করে।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেছেন, এমনকি এই সামান্য পরিমাণ নমুনা থেকেও আমরা ‘আমাদের পৃথিবীর’ জন্য হুমকি হতে পারে এমন গ্রহাণুগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে আরো ভালভাবে বুঝতে পারবো’ এবং ‘আমাদের সৌরজগতের প্রচীনতম ইতিহাসে আলোকপাত করবে’।

‘এই নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসা সত্যিই ঐতিহাসিক ঘটনা’ উল্লেখ করে নাসার বিজ্ঞানী অ্যামি সাইমন এএফপিকে বলেছেন, ‘অ্যাপোলো চাঁদের শিলা’ পৃথিবীতে নিয়ে আসার পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় নমুনা হতে চলেছে। কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন, ক্যাপসুলটির অবতরণে একটি বিপজ্জনক কৌশল’ প্রয়োজন হবে।

অবতরণের ৪ ঘন্টা আগে ৬৭,০০০ মাইল (১০৮,০০০ কিলোমিটার) এর বেশি উচ্চতা থেকে ওসিরিস-রেক্স ক্যাপসুলটি ছেড়ে দেবে।  বায়ুমন্ডলের মধ্য দিয়ে শেষ ১৩ মিনিটের মধ্যে এটি জ্বলন্ত ফায়ার বলে পরিণত হবে। কারণ এ সময় ক্যাপসুলটি ৫,০০০ ফারেনহাইট (২,৭৬০ সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ ঘন্টায় ২৭,০০০ মাইলেরও বেশি গতিতে নিচের দিকে ধাবিত হয়।

এর দ্রুত অবতরণ, সেনাবাহিনীর সেন্সর দ্বারা নিরীক্ষণ করা হবে, পরপর দুটি প্যারাশুট দিয়ে গতি ধীর করা হবে। তারা সঠিকভাবে এ প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হলে এটি ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ অনুসরণ করবে।

যদি মনে হয় যে টার্গেট জোন (৩৭ বাই ৯ মাইল) মিস করা হতে পারে, নাসার কন্ট্রোলাররা শেষ মুহুর্তে ক্যাপসুলটি ছেড়ে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

একবার টায়ারের আকারের ক্যাপসুলটি উটাহে নেমে গেলে, প্রতিরক্ষামূলক মুখোশ এবং গ্লাভস পরা একটি দল এটিকে হেলিকপ্টার দিয়ে কাছাকাছি একটি অস্থায়ী ‘পরিষ্কার ঘরে’ নিয়ে যাবে।

নাসা মরুভূমির বালির সাথে নমুনার কোনো দূষণ এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এবং সাবধানতার সাথে এটি করতে চায়।
সোমবার, নমুনাটি বিমানে করে টেক্সাসের হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে পাঠানো হবে। সেখানে, বাক্সটি অন্য একটি ‘পরিষ্কার ঘরে’ খোলা হবে।

নাসা ১১ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলনে তার প্রথম ফলাফল ঘোষণা করার পরিকল্পনা করেছে।