ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:৫৫:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

টাক মাথায় চুল গজাতে গিয়ে দুই প্রকৌশলীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২৭ মে ২০২৫ মঙ্গলবার

চিকিৎসক অনুস্কা তিওয়ারি

চিকিৎসক অনুস্কা তিওয়ারি

ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে চুল প্রতিস্থাপনের পরপরই মৃত্যু হয়েছে দুই প্রকৌশলীর। এ ঘটনায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। অবশেষে কয়েক মাস পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি এবং তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নিহত দুই প্রকৌশলী হলেন বিনীত কুমার দুবে ও প্রমোদ কাটিয়ার। চিকিৎসার পরপরই তাদের মৃত্যু হলে পরিবারগুলো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তোলে।

জানা গেছে গত মার্চে এই দুজন একটি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করান। অভিযোগ রয়েছে, অস্ত্রোপচারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তারা মারা করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক দন্ত চিকিৎসক অনুস্কা তিওয়ারি নিজেই এই অপারেশন করেছিলেন। অথচ এই পদ্ধতি তার চিকিৎসা বিষয়ের নয়।

নিহত বিনীত কুমারের স্ত্রী জয়া ত্রিপাঠী জানান, গত ১৩ মার্চ তার স্বামীর অস্ত্রোপচার হয়। পরদিন ১৪ মার্চ জানানো হয়, তার স্বামীর মুখ ফুলে গেছে। এরপর তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাননি। রাত ১১টার দিকে একবার যোগাযোগ হলে চিকিৎসক স্বীকার করেন যে কোনো ধরনের মেডিকেল টেস্ট না করেই তিনি এই অস্ত্রোপচার করেছেন। ওই রাতেই স্বামীকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু পরদিন তার মৃত্যু হয়।

জয়ার অভিযোগ, প্রাথমিকভাবে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। ফলে তিনি গত ৯ মে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ মামলা গ্রহণ করে।

সরকারি কৌঁসুলি দিলীপ সিং জানান, অনুস্কা তিওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি এমন একটি অপারেশন করেছেন, যা তার চিকিৎসা দক্ষতার আওতায় পড়ে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। কাকাদেব থানায় মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে দোষী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এখনো প্রমাণ সংগ্রহ চলছে এবং তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা।