ঢাকা, মঙ্গলবার ৩০, এপ্রিল ২০২৪ ১০:০৮:০২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন রিতু আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে হিটস্ট্রোকে একদিনে ১৭ মৃত্যুর রেকর্ড ঢাকাসহ ৫ জেলার স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ, প্রাথমিক খোলা বিপজ্জনক দাবদাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত

দেশে প্রতি বছর স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ১৫ হাজার নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বর্তমান বিশ্বে সাড়ে ১০ কোটি নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতি বছর এই রোগে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের বেশি নারী এবং দুই শতাংশের মতো পুরুষ। গড়ে প্রতি বছর এই ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন সাড়ে ৭ হাজার মানুষ।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সাত্তার হলরুমে ‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানায় ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ। এর আগে দুপুরে সোসাটির পক্ষ থেকে জাতীয় শহীদ মিনার থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে প্রেসক্লাব পর্যন্ত ক্যান্সার বিষয়ক জনসচেতনতামূলক র‌্যালি ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি নারী বর্তমানে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। দ্বিতীয় এ মরণব্যাধিতে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সচেতনতা ও শিক্ষার অভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে বাংলাদেশে ক্যান্সার ও এ রোগে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে।

আলোচনা সভায় জানানো হয়, আমাদের জীবনযাপনের ধরন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে, এ কারণেও ক্যান্সারে হতে পারে। এছাড়া কারও পরিবারে স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলেও পরবর্তী প্রজন্ম এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যেসব মেয়ের ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় ও দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকেন। সেইসঙ্গে তেজস্ক্রিয়তাও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

গবেষণায় দেখা যায়, যারা দেরিতে সন্তান নেন, যাদের সন্তান নেই বা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন না, শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে যাদের খাদ্যাভ্যাসে চর্বি ও প্রাণিজ আমিষ বেশি এবং প্রসেসড ফুড বেশি খান এবং যাদের অতিরিক্ত ওজন, তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছেন, এমন নারীরাও ঝুঁকির মধ্যে আছেন। একইসঙ্গে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তখন আর করার কিছু থাকে না।

স্তন ক্যান্সার সাধারণত দুভাবে শনাক্ত করা যায়- ১. স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে। ২. রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে। স্ক্রিনিং আবার দুভাবে করা যায়- ১. নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করা, ২. ডাক্তার বা নার্সের সাহায্যে পরীক্ষা করা।

স্তন রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও প্রধানত দুটি পদ্ধতি রয়েছে- ১. মেমোগ্রাম বা স্তনের বিশেষ ধরনের এক্স-রে ও ২. স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম। এছাড়া এমআরআই এবং বায়োপসির মাধ্যমেও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করা হয়ে থাকে। স্তন ক্যান্সার সনাক্তকরণের পরবর্তী পর্যায় হলো এর সঠিক চিকিত্সা করা। স্তন ক্যান্সারের যে চিকিত্সাগুলো প্রধানত রয়েছে সেগুলো হলো সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও হরমোন থেরাপি।