নারীরা পুরুষের চেয়ে ৮ গুণ বেশি মজুরিহীন গৃহকর্ম করেন : বিবিএস
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১০:০২ এএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
গৃহস্থালি এবং পরিবারের সদস্যদের সেবা দেওয়ার কাজে পুরুষের তুলনায় নারীরা আট গুণ বেশি সময় ব্যয় করেন। এর জন্য তারা কোনো বেতন বা মজুরি পান না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর নতুন জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার (১৩ জুন) এ জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
'টাইম ইউজ সার্ভে ২০২১' শিরোনামের ওই জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পুরুষরা দিনে প্রায় ১ দশমিক ৬ ঘণ্টা ঘরোয়া ও যত্ন-আত্তির কাজে ব্যয় করেন, অথচ নারীরা প্রায় অর্ধেক দিন অর্থাৎ ১১ দশমিক ৭ ঘণ্টা এসব কাজ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কাজ উৎপাদনশীল হিসেবে ধরা হয় না, তাই এগুলো মজুরিহীন এবং স্বীকৃতিবিহীন থেকে যায়।
এতে আরও বলা হয়, যদিও ঘরোয়া কাজ এবং যত্ন-আত্তির দায়িত্ব আমাদের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য প্রতিদিনের কাজের অংশ, তাই পুরুষ ও নারীদের সমানভাবে করা উচিত। কিন্তু নারীরা বাড়তি বোঝা বহন করে।
মজুরিহীন ঘরের কাজের পাশাপাশি নারীরা উৎপাদনশীল কাজ করেন ১ দশমিক ২ ঘণ্টা এবং পুরুষরা এ ধরনের কাজ করেন ৬ দশমিক ১ ঘণ্টা। ফলস্বরূপ, পুরুষের কাজ নারীদের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি স্বীকৃত পায়।
সময় ব্যবহারের ওপর গত বছর জাতীয় জরিপটি পরিচালনা করে বিবিএস। মূল উদ্দেশ্য ছিল ভালো পরিসংখ্যানের মাধ্যমে মজুরিহীন গৃহস্থালি এবং যত্ন-আত্তির কাজ এবং জাতীয় অর্থনীতির মধ্যে ঘাটতি পূরণ করা।
৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের এই মজুরিহীন গৃহকর্মের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য তা অবশ্য হ্রাস পায়। পুরুষদের জন্য এটি ধীরে ধীরে বাড়ে, তবে এর পরিমাণ খুব কম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরিবার এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য মজুরিহীন পরিষেবায় ২৫-৫৯ বছর বয়সী নারীরা দিনে ৫ দশমিক ২ ঘণ্টা ব্যয় করে। অথচ একই বয়সের পুরুষরা দিনে শূন্য দশমিক ৬ ঘণ্টা ব্যয় করে।
শহরাঞ্চলে নারীরা দিনে ৪ দশমিক ৪ ঘণ্টা এবং পুরুষরা শূন্য দশমিক ৬ ঘণ্টা মজুরিহীন পরিষেবা এবং পরিবারের সদস্যদের যত্ন-আত্তির জন্য ব্যয় করেন। এটি গ্রামীণ এলাকায় নারী ও পুরুষের জন্য যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭ ঘণ্টা ও শূন্য দশমিক ৬ ঘণ্টা।
জরিপে আরও দেখা গেছে, বিয়ের পর আরও বেশি পুরুষ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেয় এবং আরও বেশি নারী অবৈতনিক ঘরোয়া ও যত্ন-আত্তির পরিষেবাগুলোতে জড়িত হয়।
জরিপে দেখা গেছে, ৭২ দশমিক ৭৪ শতাংশ মতামতদাতা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এখানেও নারীরা পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে আছে। ৮৬ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষের তুলনায় মাত্র ৫৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নারীর মোবাইল ফোন রয়েছে।
জরিপে আরও দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। মোট ২৮ দশমিক ০৬ শতাংশ মতামতদাতা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ১৫ শতাংশ পুরুষ এবং ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ নারী।
- গরমে শিশু ও নবজাতকের যত্ন কীভাবে নিবেন
- যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল সিনেটে পাস
- ঈশ্বরদীতে আজ তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি
- তীব্র গরমে তাপের সাথে সাপও বাড়ে যে কারণে
- শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে কী কী হবে?
- ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের কমল স্বর্ণের দাম
- মক্কা ও মদিনায় তুমুল বৃষ্টির শঙ্কা
- প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌসের স্বর্ণজয়
- খালেদার গ্যাটকো মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পেছাল
- অনেক প্রশংসা পাচ্ছি: তাসনিয়া ফারিণ
- কুড়িগ্রামে তাপদাহ: বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- ‘পদ্মশ্রী’ গ্রহণ করলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- কেউ হিট স্ট্রোক করলে কী করবেন?
- সালমান আমার জীবন: ঐশ্বরিয়া
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- এবার বাংলা একাডেমি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- রোমান্টিক যুগের অন্যতম কবি জন কিটস
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন