ঢাকা, শনিবার ২৭, এপ্রিল ২০২৪ ৩:৫২:১৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়াবে আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই গাজীপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

পিইসির পরিবর্তে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২০ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি সমাপনী কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হবে না। স্কুলে স্কুলে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে- এমন প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

এই দুটি পরীক্ষা শুধু এ বছরের জন্য বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে এই সারসংক্ষেপে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সাড়ে পাঁচ মাস বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় এবং কবে নাগাদ বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় এই প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, পিইসি পরীক্ষা নেয়ার কারণে বার্ষিক মেধাবৃত্তিও দেয়া সম্ভব হবে না। তবে উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু থাকবে।প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না নেয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মিললে পিইসির পরিবর্তে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।

এই বিষয়ে আজ বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রেখে বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনায় করণীয় বিষয়ক বিভিন্ন নির্দেশনা তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক পরা, হাত পরিষ্কার, থার্মোমিটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। সবাইকে সেসব মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক এমন ৫০টির বেশি নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে। এ সবগুলো বিষয়ে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।পরীক্ষা না হলে মেধাবৃত্তি দেয়া হবে না এ বছর।

এদিকে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন মিললে পিইসির পরিবর্তে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের স্বাক্ষর শেষে এ-সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের ওপরই নির্ভর করছে পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে পিইসি পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। সার্বিক পর্যালোচনা করে ২০২০ সালের পিইসি পরীক্ষা না নিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীতকরণের কার্যক্রম নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ২০২০ সালে পিইসি অনুষ্ঠিত না হলে সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে দেওয়া মেধাভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে উপবৃত্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২০২০ সালের পিইসি ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা গ্রহণ না করার বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন।

গতকাল পাঠানো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু কিছু দেশে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় খুলেছে। জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদ্যালয়গুলো খুললেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে আবার তা বন্ধ করা হয়েছে। সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে এখনও বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলেও অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে নাও পাঠাতে পারেন। এতে যারা বিদ্যালয়ে যাবে এবং যারা যাবে না, তাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কর্তৃক প্রণীত সংশোধিত পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নিতে হলে আরও প্রায় ৫০ কার্যদিবস পাঠদান করা প্রয়োজন। সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যালয়গুলো খোলা না গেলে যে কার্যদিবস পাওয়া যাবে, তাতে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির অবশিষ্ট পাঠদান সম্ভব হবে না।

সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, পঞ্চম শ্রেণির পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩১ কর্মদিবস নির্ধারণ করা হয়। গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধের আগে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পাঠদান সম্ভব হয়েছে। গত ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, যা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে মোট ৭১ কার্যদিবস বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে এবং পঞ্চম শ্রেণির ৪০৬টি স্বাভাবিক পাঠদান সম্ভব হবে না। তবে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পঞ্চম শ্রেণির ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং রেডিওর মাধ্যমে ৯৭.৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো যাবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী-অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষকরা।

-জেডসি