ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:১৪:২৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কে টানাপড়েন আছে’ বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব করে যা জানিয়েছে ভারত মা-মেয়ে হত্যা : সেই গৃহকর্মীর দোষ স্বীকার যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি চালকের অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

বনানীতে রুবেলের স্থায়ী কবরের জন্য কান্না স্ত্রী ফারহানার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৪ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ব্রেন টিউমার ও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশের দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। মৃত্যুর পর এই ক্রিকেটারের শেষ আশ্রয়স্থল হয় বনানী কবরস্থান। যেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে কবরের জায়গা পেয়েছেন রুবেল। দুই বছর পর তার জায়গায় অন্য কেউ আশ্রয় করে নেবেন এই কবরে।

মোশাররফ রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রুপা, স্বামীর কবর এখান থেকে স্থানান্তর করা হোক চান না। আর তাই প্রধানমন্ত্রী ও মেয়রের কাছে তিনি আবেদন করেন, বনানী কবরস্থানে যেন রুবেলের কবর স্থায়ী করা হয়। তাদের সন্তান যেন, জানতে পারে তার বাবা রুবেল চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বনানীর এই কবরস্থানে।

রুবেলের কবর জেয়ারত শেষে আজ (২২ এপ্রিল) বনানীর কবরস্থানের বাইরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফারহানা রুপা। সেখানে স্বামীর স্থায়ী কবরের জন্য এমন আবেদন করেন রুবেলের স্ত্রী রুপা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন ‘রুবেল তো আসলে আমাদের সবার, না? রুবেল তো দেশের জন্য খেলেছে। মাত্র দুই বছরের জন্য সে এখানে। সত্যি বলতে এখানে স্থায়ী করতে হলে অনেক টাকা লাগে। প্রায় এক কোটির মতো। আমাদের কাছে তো এত টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবরটা স্থায়ী হক। ও যেন একটু মাটি পায়।’

বনানী কবরস্থানের নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পর কবর পরিবর্তন হয়ে যায়। যদি কেউ কবর স্থায়ী করতে চায়, তবে তাকে প্রচুর অর্থ দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা কিনে নিতে হয়। আর সেটি নিজেদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে ফারহানা রুপা আরও বলেন,

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া, আপনি তো অনেককেই অনেক কিছু দেন। ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কিছু করেন। রুবেলের মতো মৃত ক্রিকেটারকে কি এক ফোটা মাটির ব্যবস্থা করে দেবেন। শুধু একটি স্থায়ী কবর। আর কিছু চাওয়া নেই আমার।’

রুবেল-ফারহানা দম্পতির একমাত্র সন্তান রুশদান। এখনও অবুঝ এই সন্তান বুঝতে শিখলে যেন বাবার কবর দেখতে পায়। বাবার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে বনানীতে, এমনটাই চাওয়া ফারহানা রুপার।

নিজের সন্তানের প্রসঙ্গ টেনে কান্না করতে করতে তিনি আরও যোগ করেন, ‘রুবেলের জন্য একটু মাটি যেন, আমার ছেলেটা দেখতে পারে। দুই বছর পর তুলে ফেললে আমরা তো আর পাব না। রুবেল তো আর কোথাও নেই, হারাই গেছে। আমাদের জন্য শুধু এখানেই আছে।’