ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ২১:৪৯:০৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

বোনাস ছাড়াই অধিকাংশ পোশাক শ্রমিকের ঈদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

এবারও ঈদ বোনাস ছাড়াই অধিকাংশ পোশাকশিল্প শ্রমিককে ঈদ করতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোরবানির ঈদের ছুটির আগেই শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করার নির্দেশনা ছিলো। শ্রমিক সংগঠনগুলোরও একই দাবি ছিলো। 

কিন্তু গতকাল সোমবার শেষ দিনেও অধিকাংশ শিল্প কারখানায় বোনাস হয়নি। শ্রমিকদের বোনাস ছাড়াই ঘরে ফিরে যেতে হচ্ছে। যদিও বেতন হয়েছে ৯০ শতাংশ শিল্প কারখানায় এমন তথ্য শিল্পপুলিশের। তবে বোনাস হয়েছে ৫০ শতাংশ শিল্প কারখানায়।

এদিকে পোশাক শিল্প কারখানায় শতভাগ বেতন-বোনাস পরিাশোধ হয়েছে বলে দাবি করছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও নিটওয়্যার পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএইএ।

জানা গেছে, কোনো কোনো কারখানা ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটি পেলেও অনিশ্চয়তা নিয়েই ঈদে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে শ্রমিকরা। তারা জানে না ছুটির পর কিভাবে ফিরবেন কারখানায়। আর মালিক পক্ষ বলছেন, শ্রমিকরা কিভাবে কাজে ফিরবেন এর দায় সরকারকে নিতে হবে। আমরা শ্রম আইনমতেই ছুটি নিশ্চিত করেছি।
 
বিজিএমইএ বলছে, চলমান কারখানাগুলোর মধ্যে মাত্র একটি (স্টাইল ক্র্যাফট) ছাড়া সব কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ হয়েছে। ওই কারখানাটির শ্রমিকরা যাতে বেতন পান এ নিয়ে কাজ চলমান আছে। আর বিকেএমইএ বলছে, সদস্যভুক্ত শতভাগ কারখানা মালিক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেই ছুটি দিয়েছে।

শিল্পপুলিশের তথ্য বলছে, সারাদেশে মোট ৭ হাজার ৮২৪টি বিভিন্ন কারখানার মধ্যে জুন মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কারখানা। আর বোনাস পরিশোধ করেছে ৫৫ শতাংশ কারখানা। হিসাব বলছে, এখনো ৪৫ শতাংশ কারখানা বোনাস দেয়নি। আর ৫ শতাংশ কারখানায় বেতন হয়নি।

এর আগে চলতি মাসের ১৩ তারিখ শ্রম ভবনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ১৯ জুলার মধ্য কারাখনা বেতন দিতে হবে মালিকপক্ষকে। আর যেসব কারখানা মালিক বেতন-বোনাস পরিশোধে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।

পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর মতে চলমানকৃত শতভাগ কারখানা মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে।

এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিজিএমইএ সদস্যদের প্রায় শতভাগ কারখানা বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছে। সোমবার পর্যন্ত ৫টি কারখানা বেতন-বোনাস বাকি থাকলেও চারটি কারখানা পরিশোধ করেছে। একটি কারখানা এখনো পরিশোধ করতে পারেনি, তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে পরিশোধ হয়। আশা করি,আগামীকালের মধ্যেই সেটির বেতন-বোনাস পরিশোধ হবে।

বিকেএমইএর পরিচালক ও ফতুল্লা অ্যাপারেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে শামীম এহসান বলেন, বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত চলমান ৮১৪টি কারখানায় শতভাগ বেতন-বোনাস পরিশোধ হয়েছে। এসব কারখানার ৩০ শতাংশ কারখানায় চলতি জুলাই মাসের ১৫ দিনের বেতনও পরিশোধ করেছে।

তিনি বলেন, কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই শতভাগ কারখানা মালিক বেতন এবং বোনাস পরিশোধ করেছে। 

বেতন-বোনাস প্রসঙ্গে শ্রমিকনেতা প্রকাশ দত্ত বলেন, কয়েকদিন আগেও সংবাদপত্রের রিপোর্ট ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনমতে বহু কারখানা ঝুঁঁকিতে রয়েছে। আজ দুদিনের মধ্যেই কিভাবে সব কারখানার বেতন-বোনাস পরিশোধ হলো আমরা বুঝতে পারছি না। 

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানা ছাড়া ছোট মাঝারি অধিকাংশ কারখানায় বেতন-বোনাস হয়নি। শ্রমিকরা বেতন-বোনাস ছাড়াই এত বড় ঈদ পার করবেন। এটা খুবই দুঃখজনক। সরকারের উচিত হবে এসব কারখানার মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। 

তিনি আরও বলেন, এসব কারখানা দেখভালের কেউ নেই। জোর দাবি জানাব শ্রম অধিদপ্তর যেন এসব কারখানাগুলোর দায়দায়িত্ব নেয়। এসব কারখানার দেখভালের দায়িত্ব শ্রম অধিদপ্তরের।