ঢাকা, শনিবার ০৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:৪৪:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে জুবাইদা রহমান ‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের ইতিবাচক সাড়া নেই’ বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে বন্যায় সহায়তা: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

মঙ্গল গ্রহে প্রথম যাওয়া উচিত নারীর : অ্যালিসন

বিবিসি বাংলা অনলাইন | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০১:৩০ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৮ সোমবার

অ্যালিসন মাকলিনটায়ার নাসার একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী। তিনি বলেছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রথম অবতরণকারী একজন নারী হওয়া উচিত। সম্প্রতি বিবিসি বাংলা অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।


অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার বলেন, এতদিন পর্যন্ত যত জন চাঁদে গেছেন তাদের ১২জনই ছিলেন পুরুষ। তার মতে, মেয়েদের সামনে আনা উচিত এবং যেদিন কোন মানুষকে তারা মঙ্গল গ্রহে পাঠাবেন, তার নারীই হওয়া উচিত।


টেক্সাস এবং ফ্লোরিডাতে নাসার `বিহাইন্ড দ্যা সিন` তৈরি করছে বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভ। তারা একবিংশ শতাব্দীতে মহাকাশ গবেষণায় যেসব নারীরা সামনের দিকে রয়েছে তাদের সাথে সাক্ষাত করেছে।


প্রায় অর্ধশত বছর আগে রাশিয়া প্রথম একজন নারীকে মহাকাশে প্রেরণ করেন। আর ৪০ বছর আগে নাসা প্রথম নির্বাচন করে একজন নারী নভোচারীকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নারী চাঁদে যাননি।


নভোচারীদের জন্য বিশাল এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার। তার অফিসে বসে তিনি বিবিসির টিমের সাথে কথা বলেন। হিউস্টনে জনসন স্পেস সেন্টারে অ্যালিসনের অফিসে একটা জানালা রয়েছে যেখান থেকে মহাকাশ যানের বিভিন্ন মডিউল তৈরির ভবনটির দারুণ দৃশ্য দেখা যায়।


বিশাল এই ভবনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের এমন ধরণের সব মডিউল রয়েছে-যাতে করে নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নিতে পারে।


অ্যালিসন এই ফ্যাসিলিটির প্রধান। তিনি নাসাতে ৩০ বছর ধরে আছেন এবং এই সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।


তিনি বলেন "আমার সেন্টার পরিচালক একজন নারী, আমার সাবেক ডিভিশন প্রধান ছিলেন একজন নারী, আমাদের নারী নভোচারীও রয়েছেন। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত একজন নারীকে চাঁদে পাঠাতে পারিনি।


অ্যালিসন "আমি মনে করি মঙ্গলে প্রথম যিনি যাবেন তিনি একজন নারী হওয়া উচিত"।


এদিকে নাসার অন্য এক নারী নভোচারী কারেন নেইবার্গ। ইতিমধ্যে তিনি ছয় মাসের বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন।

তিনি বলেন "আমাকে যখন ২০০০ সালে প্রথম নভোচারী হিসেবে বেছে নেয়া হলো, তখন আমি ভেবেছিলাম একটা বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হলো। আমরাই হয়ত পরবর্তীতে চাঁদে যাবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমরা সে সুযোগটা পাই নি"।


নারীরা আদৌ চাঁদে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্ন করলে, কারেন বলেন, "এটা হবে। তবে এখানে অনেক রাজনীতি চলে, প্রচুর অর্থের দরকার। সুতরাং বিষয়টা যে খুব দ্রুত হবে সেটা মনে হচ্ছে না। তবে একদিন অবশ্যই হবে"।