ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ২১:১৬:১৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ পুড়ে ছাই, রক্ষা পেল ৭ শিশু সবজির বাজার চড়া, কমেনি মুরগির দাম সারা দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি শিশু হাসপাতালের আগুন সম্পূর্ণ নিভেছে

মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৪১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

 ঠাকুরগাঁওয়ে আম গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল আর মুকুল ভরা ডালে নতুন পাতার হাতছানি। মৌ মৌ ঘ্রাণে মাতোয়ারা মৌমাছির দল। ভাষায় যথাযথ ছবি ফোটানো না গেলেও আমের গাছে এমন মুকুল ফোটা দৃশ্য এখন সারা জেলাজুড়ে যেন হলুদ আর সবুজের মিলনমেলা।
 
জানা যায়, বাংলাদেশে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁওয়েও আমের ভাল ফলন হয়। বাহারি আর মন মাতানো তদের নাম যেমন ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাঙ্গা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি।

 বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও এলাকায় আম চাষ বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। এ জেলার মাটি তুলনামূলক উঁচু এবং মাটির প্রকৃতি বেলে দো-আঁশ। এসব জমিতে কয়েক বছর আগেও চাষিরা গম, ধান, পাট ইত্যাদি আবাদ করতেন। কিন্তু ধান গম আবাদ করে তেমন একটা লাভবান হওয়া যায় না। তাই জেলার বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল এলাকায় ব্যাপক আম বাগান গড়ে উঠেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় আম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৫ হাজার ৮০ হেক্টর। এর মধ্যে আম বাগানের সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমি ও বসত বাড়ির আম গাছের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৪ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন। যা গত বছরে আম আবাদ হয়েছিল ৮ হাজার ২৯ হেক্টর জমিতে।  
এছাড়াও একবিঘা জমিতে অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে যে লাভ হয়, আম বাগান করে তার চাইতে কয়েকগুণ লাভবান হওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আম বাগান ব্যবসায়ি রাজ মাহমুদ। গতবছর তিনি তার বাগান থেকে সারাদেশে বিষমুক্ত আম সরবরাহ করেন। তার মতো অনেক বেকার যুবক এখন বাণিজ্যিক ভাবে আম্রপালি আমের বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এসব বাগানে গাছ লাগানোর ২/৩ বছরের মধ্যেই আম পাওয়া যায়। লাগাতার ফল দেয় ১০/১২ বছর। ফলনও হয় ব্যাপক।
 
সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের সেন্টারহাট এলাকার আম বাগান মালিক সাইফুর রহমান বলেন, আম বাগান ফল ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম বিক্রি করে দেওয়া যায়। দুই-তিন বছর কিংবা তার অধিক সময়ের জন্য অগ্রিম বিক্রি হয়ে যায় বাগানগুলো। অনেক সময় বাগান বিক্রি হয় মুকুল দেখে। আবার কিছু বাগান বিক্রি হয় ফল মাঝারি আকারের হলে।
 
বাগান ব্যবসায়ী শহিদুল হক জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ব্যাপক মুকুল দেখা যাচ্ছে। মুকুল দেখে আশা করা যায় এবার আমের ব্যাপক ফলন হবে। শিলাবৃষ্টি বা ঝড় না হলে ব্যাপক আমের ফলন পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
 
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার আমের ভাল ফলন হয়। আম চাষীদের কৃষি বিভাগ থেকে যাবতীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। জেলার সূর্যপূরী আম সারাদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। কৃষকদের আমাকের পোকা দমনে যাবতীয় প্রস্তুতিমূলক সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। সূর্যপুরী আমের আকার দেখতে ছোট হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ব্যাপক ফলন আশা করা যাচ্ছে।