ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২১:০০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেছেন তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আবারো আগুন-ভাঙচুর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

রিপা-আনাইরাই বাংলাদেশের আশার প্রদিপ

অনলাইন ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের মাটিতেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশীপে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জেতে বাংলাদেশ। বুধবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোস্তফা কামলা স্টেডিয়ামে এ ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পুরো ম্যাচ জুড়েই দাপোট দেখিয়েছে বাংলার বাঘিনীরা।
ম্যাচ শেষে বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে সবাই নাচে-গানে শিরোপা উদযাপন করেছেন। সেই শিরোপা উদযাপনে সতীর্থদের মধ্যমণি ছিলেন কক্সবাজারের মেয়ে শাহেদা আক্তার রিপা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচ গোল করে রিপা নির্বাচিত হয় টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ পাচ্ছেন তিনি।

এছাড়া আলোচনায় রয়েছে দলে থাকা যমজ দুই বোন আনাই মগিনি ও আনুচিং মগিনি। এক রোববার আনাই জন্ম নেয়ার দুই মিনিটের ব্যবধানে আনুচিংয়ের জন্ম। দুই বোনই কয়েক বছর ধরে খেলছেন জাতীয় দলে। একই সঙ্গে বয়সভিত্তিক দলেরও নিয়মিত মুখ। কাল ডিফেন্ডার আনাই খেললেও মাঠে নামা হয়নি স্ট্রাইকার আনুচিংয়ের। ভারতের বিপক্ষে দেশের হয়ে জয় সূচক গোলটি আনাই মগিনির করা। খাগড়াছড়ির সবুজে ঢাকা সাতভাইয়াপাড়া পাহাড়ি গ্রামে মেয়ে আনাই ও আনুচিং। তাদের নিয়ে বুধবার রাতে গ্রামটির বাড়িতে বাড়িতে ছিল উৎসবের আমেজ। আনাইয়ের গোলে উজ্জ্বল করেছেন পাহাড়ি গ্রামটির নাম, গর্ব এনে দিয়েছেন এই পাহাড়ি জনপদে।

রিপা কিংবা আনাই-আনুচিং কেউই আর্থিক স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসেনি। পরিবারের অভাব অনটনের মধ্যে চালিয়ে চলছে তাদের ফুটবল ক্যারিয়ার। ফুটবলের সুবাধে তারা তাদের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করছে।

রিপার ফুটবলে আসার গল্পটাও দারুণ। রিপা বলেন, ‘আমি ক্রিকেটেও অনেক ভালো খেলি। বিকেএসপিতে ভর্তির সময় আমার ফুফাতো ভাই বলেছিল ফুটবলে ট্রায়াল দিতে। ফুটবলে ট্রায়ালে টিকে যাওয়ার পর থেকেই ফুটবল আমার ধ্যানজ্ঞান। না হলে ক্রিকেটারও হতে পারতাম।’ বিকেএসপিতে রিপা এখন দশম শ্রেণিতে পড়েন। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেবেন। ফুটবলের মাধ্যমে তিনি দেশকে আরও অনেক কিছু দিতে চান বলে জানান। তিনি বলেন ‘জাতীয় ফুটবলের সাফল্যেও আমি এই ভাবে ভূমিকা রাখতে চাই। ’

রিপার মত বাংলাদেশের সাফল্যে নিজেদের নাম রাখতে চান আনাই-আনুচিং। যমজ দুই বোনের ২০১১ সালের বঙ্গমাতা ফুটবল দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। খাগড়াছড়ি জেলায় মেয়েদের দল না থাকায় ২০১৩ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা দলের হয়ে খেলেছেন দুই বোন। পরে ২০১৫ সালে খাগড়াছড়ি জেলা দলের হয়ে খেলেই তাঁরা জায়গা করে নেন অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় দলে।

পরের গল্পটা আমাদের সবারই জানা। দুই বোন জাতীয় দলের পাশাপাশি খেলছেন বয়সভিত্তিক দলেও। ২০১৮ সালে ভুটানে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব–১৮ সাফ জয়ী দলের অংশ ছিলেন তাঁরা। এখন সারা বছর ঢাকায় ক্যাম্পে থাকতে হয়। আজ এই দেশ, তো কাল অন্য দেশে। দুই বোনকে ছাড়া এখন বাংলাদেশ দলের কথা ভাবাই যায় না।