শহুরে পাখি বাংলা কাঠঠোকরা: আইরীন নিয়াজী মান্না
আইরীন নিয়াজী মান্না | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১০:৩৩ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার
বাংলা কাঠঠোকরা। ছবি: নেট থেকে।
শহুরে পাখি বাংলা কাঠঠোকরা। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য শহরে বড় বড় গাছ, ঝোপঝারে ওদের ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। আমাদের দেশের শহুরে এলাকায় বসবাস করে এমন অল্পসংখ্যক কাঠঠোকরার মধ্যে এ পাখিটি অন্যতম।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। বংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রজাতির কাঠঠোকরা দেখা যায়।
সুদর্শন এই পাখিটির বাংলা নাম হিমালয়ী কাঠঠোকরা। কেউ কেউ বলে বাংলা কাঠঠোকরা। ইংরেজি নাম হিমালয়ান গোল্ডেনব্যাক (Himalayan Goldenback), বৈজ্ঞানিক নাম Dinopium benghalense | Picidae (পিসিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Dinopium (ডাইনোপিয়াম) গণের অন্তর্ভুক্ত এক প্রজাতির অতি পরিচিত পাখি।
সারা পৃথিবীতে এক সীমিত এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত। প্রায় ৩০ লাখ ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ওদের আবাস। ওরা কখনো কখনো দলে দলে এবং কখনো একাকী বিচরণ করতে পছন্দ করে।
বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলা কাঠঠোকরার সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে। আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই.ইউ.সি.এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
তীক্ষ করকরে ডাক আর ঢেউয়ের মত উড্ডয়ন প্রক্রিয়া বাংলা কাঠঠোকরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ডাইনোপিয়াম গণের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র ওদের গলা ও কোমর কালো।
বাংলা কাঠঠোকরা দৈর্ঘ্যে বেশ বড়সড়; প্রায় ২৬–২৯ সেমি। ওজন ১০০ গ্রাম, ডানা ১৪.২ সেমি, ঠোঁট ৩.৭ সেমি, পা ২.৫ সেমি ও লেজ ৯ সেমি।
ওরা আকৃতিতে অন্যসব সাধারণ কাঠঠোকরার মতোই। কেবল ডানা-ঢাকনি উজ্জ্বল হলদে-সোনালি। কোমর বড় কাঠঠোকরার মতো লাল নয়, কালো। দেহতল সাদা ও তাতে কালো আঁশের মত দাগ থাকে। গলা ও থুতনি কালো এবং তাতে অস্পষ্ট সাদা ডোরা দেখা যায়। যা দেখে একই অঞ্চলের পাতি কাঠঠোকরা থেকে এদের আলাদা করা যায়। ঘাড় সাদা ও পাশে কালো দাগ থাকে। বড় কাঠঠোকরার মতো এর মুখে গোঁফের মতো লম্বা দাগ থাকে না। তবে বুকে আঁশের মতো দাগ মোটা ও কালো। চোখে কালো ডোরা থাকে। ডানার গোড়া ও মধ্য পালক-ঢাকনিতে দুই সারি সাদা বা ফিকে ফুটকি স্পষ্ট। পিঠ ও ডানার শেষাংশ সোনালি। চোখ লালচে বাদামি ও চোখের চারদিকের রিং সবুজ। পা ও পায়ের পাতা ধূসরাভ সবুজ। ঠোঁটের রঙ শিং-রঙা ও কালোর মিশ্রণ।
পুরুষ ও স্ত্রী পাখির চেহারার পার্থক্য তাদের চাঁদি ও ঝুঁটির রঙে। পুরুষ কাঠঠোকরার চাঁদি ও ঝুঁটি টকটকে লাল। স্ত্রী কাঠঠোকরার ঝুঁটি লাল কিন্তু চাঁদি কালো ও সাদা ফুটকিযুক্ত। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ অনুজ্জ্বল। বাকি সব স্ত্রী পাখির মতো। তবে স্ত্রী পাখির মতো চাঁদির কালো অংশ থাকে না।
অন্যান্য কাঠঠোকরার মতো বাংলা কাঠঠোকরার চঞ্চু মজবুত ও চোখা। লেজও খাটো, দৃঢ় ও গাছের ডালে ঠেস দিয়ে রাখার উপযোগী। পা জাইগোডেক্টাইল, অর্থাৎ দু'টি আঙ্গুল সম্মুখমুখী ও দু'টি পশ্চাৎমুখী। ওদের জিভ লম্বা ও গর্ত থেকে পোকামাকড় টেনে বের করার উপযোগী।
ওদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পোকামাকড় এবং পিঁপড়া। প্রজননকাল মার্চ থেকে মে। প্রজনন মৌসুমে ওদের হাঁকডাক বেড়ে যায়। এ সময় ‘কি-কি-কি-কি’ সুরে ডাকে ওরা। গাছের মোটাসোটা ডালে নিজেরা খোড়ল বানিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ২ থেকে ৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৭-১৮ দিন। বাচ্চাদের লালন-পালন করে দুজনে মিলে।
লেখক: বাংলাদেশ বার্ড ওয়াচার সোসাইটির আহবায়ক।
- সবজির বাজারে স্বস্তি নেই
- যুদ্ধকে ‘না’ বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছি
- তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখবে যে পানীয়
- এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ আজ
- সারাদেশে আজ স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ
- ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বজ্রসহ শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা
- নিউইয়র্কে ফিলিস্তিনপন্থী ৩০০ বিক্ষোভকারী আটক
- আজ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
- উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার সতর্কতা জারি
- হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, এক নারীসহ ৫জনের প্রাণহানী
- ভারী বর্ষণে মহাসড়কে ধস, চীনে ২৪ প্রাণহানি
- জাতীয় সংসদ বসছে আজ
- রাজবাড়ীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ
- এভারকেয়ারের সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া
- ফারিণের সফলতায় যা বললেন তাহসান
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের
- ‘এক মাসে ৫৩ নারীর আত্মহত্যা’
- বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব
- শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি