ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৭:২৯:২৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে কাজ করতে হবে : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১০:০১ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।


আজ রোববার রাজধানীর শাহবাগে সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার-এ ‘দারিদ্র বিমোচন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (এপিপিজিস) আয়োজিত এই কনভেনশনে মানবাধিকার সম্পর্কিত এপিপিজিস’র চেয়ারপারসন ডা. দীপু মনি এমপি’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শিশির শীলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান এমপি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন খুলনার দাকোপ উপজেলার লোককেন্দ্র সংগঠনের সভাপতি রেবতী ঘরামী।


কনভেনশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন অক্সফামের কান্টি ডিরেক্টর দীপংকর দত্ত।


স্পিকার বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক কাজ। বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে তার সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে ২৪.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি সরকারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।


তিনি বলেন, যারা এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে সেইসব হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করা হয়। বাজেটে দারিদ্র্য বিমোচনকে অগ্রাধিকার ও প্রধান্য দিয়ে বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়। সেখানে নারী, শিশু এবং সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকে।


শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারাবিশ্বে দারিদ্র বিমোচনের জন্য যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে তার মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি অন্যতম। বাংলাদেশ এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় এই লক্ষ্য অর্জন অবশ্যই সম্ভব। এর একটি অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে প্রবৃদ্ধি অর্জন।


তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির সুফল নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। প্রবৃদ্ধি অর্জনই শুধু দারিদ্র বিমোচনের জন্য যথেষ্ট নয়। সেই প্রবৃদ্ধি হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, যে প্রবৃদ্ধি নি¤œ আয়ের মানেুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে এবং তাদের অবস্থার পরিবর্তন ও উন্নয়ন করতে পারে। এটা করতে হলে কর্মসংস্থানের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে যে ধরনের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে।


তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীনতা শুধু গণতন্ত্রের জন্য হয়নি, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও হয়েছে। শ্রমিক, গরীব, নারী, আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার ছাড়া গণতন্ত্র একটি পোড়ারুটির মতো, যা খাওয়া যায় না। সমাজতন্ত্র ছাড়া, শোষণমুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন। ভাল গণতন্ত্রের জন্য অর্থনীতিতে শোষণমুক্তির কার্যক্রম চালাতে হবে।