ঢাকা, বুধবার ২৪, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৪১:৪৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ফুড সেফটি নিশ্চিত না হলে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর অর্থ নেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ একনেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন শেখ হাসিনা-সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ৫

১২৮ ঘণ্টা পর ২ মাস বয়সী শিশুকে জীবিত উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে, ভূমিকম্পের ছয়দিন পরেও অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে অবাক করার ঘটনাটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হাতায়ে প্রদেশে। সেখানকার একটি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভূমিকম্পের ১২৮ ঘণ্টার পর দুই মাস বয়সি এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাস বয়সি ওই শিশুকে উদ্ধারের সময় হাততালি ও উল্লাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত উদ্ধারকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এর আগে, ভূমিকম্পের পঞ্চম দিনেও বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে দুই বছর বয়সী শিশু, ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং একজন ৭০ বছর বয়সী নারী রয়েছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তবে, তাদের বেঁচে থাকাটা ক্ষীণ। তারপরও উদ্ধারকারীরা জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকাদের সন্ধানও পাচ্ছেন তারা।

জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ মানুষের রান্না করা খাবারের প্রয়োজন।

ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশ এরইমধ্যে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছেন।

শিশুটির বেঁচে যাওয়ার ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন

এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের পূর্ব এরজিনকান প্রদেশে ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৯ সালে দেশটির ডুজসে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।