ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৮:২৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এইচএসসির ফল প্রকাশে আইন সংশোধনী প্রস্তাব পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে সৃষ্ট পরিস্থিতির মাঝে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশে শিক্ষা বোর্ড আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে এ সংক্রান্ত তিনটি প্রস্তাব পেশ করেন। এ সময় সব সংসদ সদস্যদের হ্যাঁ ভোটে এটি পাশ হয়।

একই সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী একদিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে শিক্ষা বোর্ড আইন এবং দুই দিনের মধ্যে কারিগরি ও মাদরাসা বোর্ড আইন প্রেরণ করা হোক। পরে সকল সংসদ সদস্যরা এটিতে হ্যাঁ বলে সম্মতি দিলে শিক্ষা বোর্ড আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাশ হয়।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এরপর ইন্টারমিডিয়েট এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৯৬ অধিকতর সংশোধন কল্পে আনিত একটি বিল ‘ইন্টারমিডিয়েট এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন সংশোধন বিল-২০২১ উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বিলের বিরোধীতা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, সংবিধানের ১৭ (ক) ধরায় বলা আছে ‘একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদান ।’ সেখানে ১২ বছর রাষ্ট্র দায়িত্ব নিয়েছে। এখন আপনি পরীক্ষা উঠায়াই দিবেন এটা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হবে কি না? ওখানে পরীক্ষার কথা বলা আছে পদ্ধতির কথা বলা আছে পরীক্ষা ওঠানোর কথা নেই তাই এটা সংবিধানের সাথে সাংঘষিক কি না?

তাছাড়া কার্যপ্রণালী বিধির ৭৭ (ঙ) অনুসরণ না করায় সংসদ সদস্যদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় এই এমপি। তিনি বলেন, এই বিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিলের বিরুদ্ধে আমি নই। কিন্তু এখানে কার্যপ্রণালী বিধির ৭৭ এর (ঙ) অনুসারে যে কোন বিল ৩ দিন আগে পাওয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু তা আমি পাইনি। কালকেও আমি খুঁজেছি, পাইনি।

এর জবাবে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমার অনুমতি সাপেক্ষেই বিলটি এসেছে। কেননা এর কিছু গুরুত্ব আছে। এই তিনটি বিল আমাদের পাস করে দিতে হবে। সেই বিবেচনায় এই বিলগুলোকে আসার সম্মতি দিয়েছি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এই বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এইচএসসি ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থী অভিভাবক সবাই অপেক্ষা করছেন এবং আমাদের ফলাফল সব প্রস্তুতও আছে। কিন্তু যেহেতু আইনে পরীক্ষা গ্রহণপূর্বক ফলাফল দেবার বিষয়টি ছিল। এবার যেহেতু বৈশ্বিক সংকটের কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা বিকল্প একটি পদ্ধতিতে আগের দুটি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ফলাফল দিতে যাচ্ছি সে কারণে বর্তমান আইনটি সংশোধন করার প্রেয়োজন দেখা দেয়। সে কারণে এটি আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিলটি মন্ত্রিপরিষদে আনার পর বলেছিরাম যেহেতু ১৮ তারিখ সংসদ শুরু হবে, তারপর দ্রুততার সাথে উত্থাপনের চেষ্টা করব। যেদিন সংসদ পাস করবে, যদি সংসদ পাস করে তারপর আমরা দ্রুততার সঙ্গে ফলাফল দেব। এটি অবশ্যই সংসদের এখতিয়ার। সংসদ কবে পাস করবে তার ওপর নিশ্চয়ই কথা বলবার এখতিয়ার নেই। সংসদের এখতিয়োরের ওপর কারো হাত দেবার সুযোগ নাই। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই দ্রুততার কথা এসেছে। এটি অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বোর্ডের সমস্ত পরীক্ষা এই আইনের অধীনেই হয়। পরে বিলটি পরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয় এবং একদিনের মধ্যে বিলের রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা বিল দুই দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।

-জেডসি