ঢাকা, সোমবার ১৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৬:২৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা ঝুঁকিতে থাকা প্রার্থী ও ব্যক্তিরা পাচ্ছেন গানম্যান-বডিগার্ড বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন নেই সিডনিতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বেড়ে ১৬

চবি উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ২১ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চার কার্যদিবসের মধ্যে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান। আর তা না পারলে প্রক্টর ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এই প্রতিশ্রুতির পর বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থামিয়ে হলে ফিরেছেন ছাত্রীরা।

তিন দিন আগে ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তারা। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার না করে ছাত্রীদের রাত ১০টায় হলে প্রবেশের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ কারণে নতুন অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি ছিল-

ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা না রাখা।

যৌন নিপীড়ন সেল বাতিল করে নতুন করে সেল গঠন করা।

আগামী চার কর্ম-দিবসের মধ্যে চলমান ঘটনাগুলোর বিচার ও সুষ্ঠু সমাধান করা।

সমাধানে ব্যর্থ হলে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ করা।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুর থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচিতে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত না করে উল্টো ছাত্রীদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে রাতে প্রীতিলতা হলের একদল ছাত্রী উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ৩০–৩৫ জন ছাত্রী উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাত্রা করলে প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা এসে তাদের পথ আটকান। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ওই হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা অবিলম্বে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেন। পরে হল থেকে বেরিয়ে অপর ছাত্রীরা বিক্ষোভে যোগ দেন।

এদিকে রাত ১১টার পর ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শতাধিক ছাত্রী সেখানে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নে জড়িতদের শাস্তি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে তিনি লিখিতভাবে চার কার্যদিবসের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত, আর তা না করতে পারলে পদত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর রাত ১২টার দিকে হলে ফিরে যান ছাত্রীরা।

উল্লেখ্য, গত রোববার রাত সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। ওই ছাত্রীর ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোশাক ও কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ রেখে দুজনকে ছেড়ে দেন ওই তরুণরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসের ভেতরে দুই ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন।