ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০৪:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচনের বাকি ৫৩ দিন, সামনের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ! ‘সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি’ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তারেক রহমান উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসে আগুন

পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল গাজার বৃহত্তম ২ হাসপাতাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৫৭ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

জ্বালানির অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে গাজার বৃহত্তম দু’টি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস। গতকাল বিমান হামলা চালিয়ে হাসপাতালটির হৃদরোগ বিভাগ গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় তিনজন নার্স নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল- আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরায়েল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অকাকে জন্ম নেয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস বলেছে, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের যে পরিস্থিতির মধ্যে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে তা ‘অনিশ্চিত এবং অনিরাপদ’। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে যাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন তাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য সংঘাতে ‘বিরতি’ প্রয়োজন।

আল জাজিরা বলছে, গাজার আল-শিফা হাসপাতালে হামলায় তিন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া গত ১১ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হওয়ার পর থেকে অকালে জন্ম নেয়া দুটি শিশুসহ ১২ জন রোগীও হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পরে তৃতীয় এক অপরিণত শিশুরও মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। উত্তর গাজায় অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হাসপাতালের প্রধান জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে, এতে করে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

রোগীদের পাশাপাশি এই হাসপাতালটিতে ৫ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বোমা হামলার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া মানুষদের কেউই গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।