ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৫:২২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচনের বাকি ৫৩ দিন, সামনের প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ! ‘সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি’ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন তারেক রহমান উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসে আগুন

ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ফাইনাল: আগ্রহী নারী-পুরুষ

খেলাধুলা ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৮ পিএম, ৯ জুলাই ২০২১ শুক্রবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

আর মাত্রা একদিন পরই ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার মধ্যেকার কোপা আমেরিকা কাপের ফাইনাল। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী নারী-পুরুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে খেলা দেখার জন্য।

নেইমার বনাম লিওনেল মেসির মধ্যকার ম্যাচ দিয়েই ভক্তরা উপলব্ধি করতে পারছেন আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচের উত্তাপ কেমন হতে পারে।

আগামী রোববার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ) ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর আইকনিক মারাকানা স্টেডিয়ামে দেখা যাবে বিশ্বের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে আগ্রাসী একজন স্ট্রাইকার লড়তে যাচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে কঠিনতম রক্ষনের বিপক্ষে। মাঠের এই লড়ইয়ের মজা ছড়িয়ে যাবে সর্বত্র।

কোপা আমেরিকায় এবারের আসরের বিগত ছয় ম্যাচে অংশ নেয়া ব্রাজিলের বক্সে বল প্রবেশ করেছে মাত্র দুইবার। থিয়াগো সিলভা, মারকুইনহোস, এডের মিলিতাওদের নিয়ে গঠিত সেলেকাও রক্ষনকে অনেক বেশী চাপ নেয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে। কোন রকম ঝুকি দেখলে ডান ও বাঁ প্রান্ত থেকে এগিয়ে এসে তাদের রক্ষনব্যুহকে আরো শক্তিশালী করেন ডানিয়ালো ও রেনান রোডি। সেই সঙ্গে সুযোগ পেলেই তারা ঝাপিয়ে পড়ে আক্রমনভাগে।

এই খেল্য়োাড়রাই জরুরী পরিস্থিতিতে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটি ব্রাজিলে স্থানান্তর করায় দক্ষিন আমেরিকান সকার কনফেডারেশনের সমালোচনা করেছিল। কিন্তু মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে তারাই এখন যে কোন মুল্যে ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে শিরোপা ধরে রাখায় বেশী মনোযোগী হয়ে পড়েছেন।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে কাসেমিরো বলেন, মেসি যেখানে খেলেন, আমিও সেই জোনে খেলি। আমরা সেখানে বিভিন্ন ম্যাচে অনেকবার পরস্পর পরস্পরের মোকাবেলা করেছি। আমি একা কোন খেলোয়াড়কে মার্কিংয়ে রাখতে পারিনা। সেই কাজটির জন্য সতীর্থদেরও দরকার। আর আপনি শুধু একজন খেলোয়াড়কে মার্কিংয়ে রাখতে পারেন না।’

নেইমার, রিচার্লিসন ও প্রান্ত আগলে থাকা গোল রক্ষক মিলে দলে ১১জন ফুটবল তারকার সবাই একত্রে যেমন রক্ষনে কাজ করেন তেমনি ওই ১১ জনই আক্রমনে ঝাপিয়ে পড়েন।

এদিকে মেসি রুখতে  একটি ফর্মুলা খুঁজে পেয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩৪ বছর বয়সি এই তারকা তৃতীয় বারের মত শিরোপার একেবারে কাছে চলে এসেছেন। সৃষ্টিশীল খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা মিডফিল্ডার রড্রিগো ডি পল ও জিওভান্নি লো চেলসো সব সময় নিরলস ভাবে মেসির চারদিকে একটি বলয় তৈরি করে রাখেন।

এবারের আসরে এখনো পর্যন্ত চার গোলের পাশাপাশি ৫টিতে  সহায়তা করেছেন মেসি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তিনি বলেছিলেন আর্জেন্টিনার হয়ে একটি গুরুত্বপুর্ন শিরোপা জয় করাটা তার স্বপ্ন। যেটি দীর্ঘ ২৮ বছরের ক্যারিয়ারে তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। জাতীয় দলের হয়েও বার্সেলোনার স্টাইলে খেলছেন মেসি। গোল করছেন ফ্রি কিক থেকে। দ্রুততার সঙ্গে ঢুকে যাচ্ছেন প্রতিপক্ষের বক্সে। আবার বলের যোগানও দিয়ে চলেছেন সতীর্থদের।

ডি পল বলেন, ‘মেসি আমাদের সবার চেয়ে এক কদম এগিয়ে। সহায়তার জন্য তাকে বাড়তি একজন হিসেবে গন্য করা হয়। আমরা সবাই তার অনুসারী। যেটি আর্জেন্টিনাকে বেশ ভাল ভাবেই তুলে ধরছে এবং জয় এনে দিচ্ছে।

কোপা আমেরিকায় আক্রমনভাগের চেয়ে রক্ষন দুর্গ দিয়েই সবাইকে আকৃষ্ট করে চলেছে ব্রাজিল। দলটির হয়ে একটি করে গোল করেছেন রিচার্লিসন ও রবার্তো ফিরমিনো। ফাইনালে নিষিদ্ধ হওয়া গাব্রিয়েল জেসুস এখনো পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি।

এদিকে মেসির সুরক্ষা বলয় তৈরি করার কারণে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের বাড়তি শক্তি ক্ষয় হয়ে হচ্ছে। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে তারা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর তখন বেশী গোল করার সুযোগ লাভ করতে পারবে ব্রাজিল।

কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচটিই একমাত্র ম্যাচ, যেটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর সম্ভাবনা প্রকট। ব্রজিলের এক দিন আগেই ফাইনালে পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের আগে অবশ্য রসালো মন্তব্য ফাইনালের চেহারাতে প্রভাব ফেলতে পারে। 
ব্রাজিলীয় তারকা রিচার্লিসন বলেছেন, কথা বলতে বলতেই ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিতে পারে। তিনি বলেন,‘ আমরা পারব। ব্যাপারটি কথা বলতে বলতে ঘটে যাবে। এটি কথার কথা নয়, মাঠেও আমরা এর প্রমান দিতে পারব।’ তিনি বলেন.‘ আমরা তাদেরকে উত্তেজিত করে তুলব। সেটি সম্ভব।’

২০১৯ সালের চেয়ে আসন্ন ম্যাচটির মধ্যে খুব বেশী একটা পার্থক্য নেই। ওই আসরের সেমি-ফাইনালে ব্রাজিল ২-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়েছিল। ওই ম্যাচের গোল দুটি করেছিলেন গাব্রিয়েল জেসুস ও রবার্তো ফিরমিনো। ইনজুরির কারণে অবশ্য ওই ম্যাচে খেলতে পারেননি নেইমার।

এবারের সেমিতে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার গোল রক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজও কলম্বিয় খেলোয়াড়দের উত্তেজিত করে তুলেছিলেন। তিনি প্রতিপক্ষের তিনটি শট রুখে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছেন দলকে।

ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে ফাইনাল ম্যাচের উদ্বোধণীতে আর্জেন্টাইন রাস্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ এর সঙ্গে যোগ দেবেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারো।