ঢাকা, রবিবার ০৫, মে ২০২৪ ১৪:৩৩:৫৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বজ্রপাতে বসতঘরে আগুন, ঘুমের মধ্যে মা-ছেলের মৃত্যু এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী আজ থেকে স্কুল কলেজ খোলা সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট ৬০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি, মাছ-মাংসে আগুন আরও ২ দিন দাবদাহের পূর্বাভাস

স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলেন যে প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট। তার স্ত্রী ইগুইনকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।

গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের মৃত্যু হয়। তাদের উভয়েরই বয়স ছিল ৯৩ বছর। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের।

দ্য গার্ডিয়ান বলছে, অ্যাগট ও ইগুইনের এই স্বেচ্ছামৃত্যু নেদারল্যান্ডসে দম্পতি বা যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, তারই উদাহরণ।

দ্রিস ভ্যানের প্রতিষ্ঠিত একটি অধিকার সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সংস্থাটির পরিচালক জেরার্ড জোনকম্যান সংবাদমাধ্যম এনওএসকে বলেছেন, গত সপ্তাহে তারা হাতে হাত রেখে দুনিয়া ত্যাগ করেছেন।

জেরার্ড জোনকম্যান জানান, ২০১৯ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দ্রিস ভ্যান। তিনি স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে চাইছিলেন না। পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক আপিল পার্টির নেতা ছিলেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিস্টান। তবে তিনি সবসময় নিজের মতো করেই চলেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে নেদারল্যান্ডসে কোনো দম্পতিকে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরের বছরেই ৩২ জন যুগল এমনভাবে মৃত্যুবরণ করেন। আর ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৮টি যুগল।

নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা সাহায্য নিয়ে আত্মহত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ছয়টি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো- আগ্রহী ব্যক্তিদের অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কিংবা নিরাময় হবে না এমন কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত থাকতে হবে।

সার্বিক পরিস্থিতি যাচাই-বাছাইয়ের পর পারিবারিক চিকিৎসকের সহযোগিতায় আগ্রহী ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হয়।