ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:১৯:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

বৈষম্যহীন ডিজাইন ছড়িয়ে দিতে চান তুর্কি তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

তুর্কি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন ডিজাইনার সব রকম মানুষের জন্য পোশাক তৈরি করে চলেছেন৷ বৈষম্যহীন এক মুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখছেন তিনি৷ তবে তুরস্কে কাজ করতে গিয়ে তাকে কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷

তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন ডিজাইনার এডা ইয়োরুলমাসোলু ইস্তানবুল শহরের কুইয়ার বা বিপরীতকামী মানুষদের জন্য তার নতুন কালেকশন তুলে ধরছেন৷ ড্র্যাগ কুইন, পোল ডান্সার ও ডিজে-দের এক শো-তে স্বপ্নময় পোশাক দেখা গেছে৷ এডা বলেন, আমার আদর্শ জগতে কোনো ধর্ম, ত্বকের রং, লিঙ্গ, শরীরের নিখুঁত গঠন নেই৷ আপনার পাঁচটা হাত থাকলেও চলবে৷ নিতম্বে দশটা চোখ থাকলেও অসাধারণ! কেমন দেখতে বা কোথা থেকে এসেছে, তার ভিত্তিতে কাউকে বিচার করা হোক, আমি সেটা চাই না৷


এডা কাকতালীয়ভাবে ড্র্যাগ কুইনদের জগতে পা রেখেছিলেন৷ তার জন্ম আমেরিকায়, সেখানেই বড় হয়েছেন৷ ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে উচ্চশিক্ষার সময়ে তিনি শিকাগো শহরে ড্র্যাগ কুইনদের জন্য পোশাক তৈরির আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন৷ সেই কাজে সাফল্য দেখিয়ে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন৷ এডা বলেন, ড্র্যাগ কুইনদের বহুমুখী প্রতিভা আমাকে মুগ্ধ করে৷ তারা নখ, মেকআপ, চুল, ফ্যাশন, পারফরমেন্স– সব বিষয়ে পারদর্শী৷ আমার সঙ্গে তারা বাধাহীনভাবে কাজ করেন বলে আমিও তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি৷ তাদের পরণে আমার তৈরি পোশাক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে৷

ইস্তানবুলে নিজের স্টুডিও-তে ‘এডা বার্থিং’ ছদ্মনামে পরিচিত এই ডিজাইনার আজকের ফ্যাশন শো-র কাজে মেতে উঠেছেন৷ ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তিনি ইস্তানবুলে আটকে পড়েছিলেন৷ তখনই তিনি পাকাপাকিভাবে তুরস্কে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন৷ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এডা ইয়োরুলমাসোলু বলেন, আমার মধ্যে পরিবর্তনের তাগিদ জন্মেছিল৷ সারা জীবন শিকাগোয় কাটিয়েছি, নিউ ইয়র্ক বা লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যাবার কথা ভাবিনি৷ শুরু থেকেই জানতাম, শিকাগোর পর ইস্তানবুলই সেরা জায়গা৷ প্রতিটা দিনই এক অ্যাডভেঞ্চারের মতো৷ একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়৷ আমার সেটা ভালোই লাগে৷

এডা শুধু অন্যদের জন্য পোশাক তৈরি করেন না, তথাকথিত ‘মাদার ক্রিচার’ হিসেবে তিনি মঞ্চে নিজের শো-তেও উপস্থিত থাকেন৷ এখনো পর্যন্ত তিনি দুইশোরও বেশি কস্টিউম ও ক্রিচার সৃষ্টি করেছেন৷ তবে ইস্তানবুল শহরে তার সৃজনশীলতায় রাশ টানতে হয়, অতীতে যার প্রয়োজন হয়নি৷ এডা বলেন, কিছু চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে আমার কখনো তুরস্কে নিজেকে সীমাবদ্ধ মনে হয়৷ আমেরিকায় থাকতে আমি আরও স্বাধীনভাবে কোনো ক্রিচার হিসেবে বা নিজের তৈরি পোশাক পরে বের হতে পারতাম৷ আর এখানে কখনো নিরাপত্তা বা স্বস্তির অভাব বোধ করি৷ সেই সীমা ভাঙার উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছি বটে, তবে তার জন্য হয়তো আরো সময় লাগবে৷


এডার নতুন কালেকশন দর্শকদের মধ্যে বিপুল সাড়া তুলেছে৷ এডা ইয়োরুলমাসোলু বলেন, ভবিষ্যতে তুরস্কে বিপরীতকামী কমিউনিটির পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে বলে আমার বিশ্বাস৷ কখনো এগোচ্ছে, কখনো পেছোচ্ছে বলে এখনই সেটা বলা কঠিন৷ তবে উন্নতির আশা আঁকড়ে ধরা আমার জন্য জরুরি৷ সবকিছু আরো ভালো হবে এবং আমরা যতটা সম্ভব এগিয়ে যাবার চেষ্টা করবো৷

এডা ইয়োরুলমাসোলুর সৃষ্টিকর্ম সবাইকে শামিল করে এক অসাধারণ জগত সৃষ্টি করে চলেছে৷