ঢাকা, মঙ্গলবার ১৬, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:১৫:২৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা ঝুঁকিতে থাকা প্রার্থী ও ব্যক্তিরা পাচ্ছেন গানম্যান-বডিগার্ড বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন নেই সিডনিতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বেড়ে ১৬

মা-মেয়েকে হত্যায় ব্যবহৃত সেই ছুরিও ছিল চুরি করা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে চুরি ধরে ফেলায় মা ও মেয়েকে হত্যায় ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারটিও ছিল চুরি করা। এই ঘটনার আগে ঘাতক গৃহকর্মী আয়েশা একইভাবে অন্য একটি বাসা থেকে চাকুটি চুরি করেছিল বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

পুলিশ ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যবর্তী সময়ে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় কুপিয়ে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও নবম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

ঘটনার দুই দিন পর ঝালকাঠির নলছিটি এলাকায় আয়েশার স্বামী জামাল শিকদার ওরফে রাব্বি শিকদারের দাদাবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতে তোলা হলে গৃহকর্মী আয়েশার ৬ দিন ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ড শেষে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা-পরবর্তী সময়ে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আয়েশা। অপরদিকে আদালতে রাব্বি দাবি করেছে, সে জানত তার স্ত্রী আয়েশা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী। কিন্তু মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার পর রাব্বি প্রথমবার জানতে পারে, তার স্ত্রী গৃহকর্মীর কাজ করে।

আদালতে রাব্বি আরও বলেছে, রাব্বি পেশায় একজন নিরাপত্তাকর্মী। সে হেমায়েতপুর এলাকায় রাত্রিকালীন নিরাপত্তার কাজ করত এবং দিনে ঘুমাত। পাশাপাশি, স্ত্রী বাইরে কাজ করায় দুই বছরের সন্তানকে দেখাশোনা করত। মোহাম্মদপুরের লায়লা আফরোজ ও তার মেয়ে নাফিসাকে হত্যার দিনে সে ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটনাটি দেখেছে। কিন্তু এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর তার স্ত্রী জড়িত— এটা জেনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রাব্বি। 

মা ও মেয়েকে ছুরিকাঘাতে হত্যার সময়ে ধস্তাধস্তিতে স্ত্রী আয়েশার হাত কেটে যায়। কাটা হাত নিয়ে বাসায় যাওয়ার পর ঘটনার বিস্তারিত জেনে প্রথমে তার হাতের চিকিৎসা করান রাব্বি। পরবর্তী সময়ে স্ত্রীকে নিয়ে সদরঘাট চলে আসেন। এই এলাকায় এসে স্ত্রী আয়েশার চুরি করে আনা একটি ল্যাপটপ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। পরে সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে বরিশাল যান। সেখান থেকে ঝালকাঠির নলছিটি এলাকায় দাদাবাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন।