ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১১, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:২৬:৩০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
আজ সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা ‘নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের শতভাগ নিরপেক্ষ থাকতে হবে’ বেআইনি ও অনুমোদনহীন সমাবেশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির মা-মেয়েকে হত্যার ‘কারণ জানাল` গৃহকর্মী আয়েশা

ইডেনের ঘটনার বিচার চান ২১ নারী আন্দোলন কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রীদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে মানবপাচার আইনে বিচারের দাবি করেছেনে দেশের ২১ নারী আন্দোলন কর্মী।

সোমবার (৩ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

জুনিয়রদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন ও যৌনতায় লিপ্ত করার যে অভিযোগ উঠেছে তার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা দেখছি গত কয়েক দশক ধরে শাসক দল ও তার ছাত্র সংগঠনের মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি গড়ে উঠেছে। চুক্তি মোতাবেক শাসক দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা শারীরিক ও মতাদর্শিক লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করছে। প্রতিদান হিসেবে তারা সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে ছাত্র থাকা অবস্থাতেই সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে।

বিবৃতিতে নারী আন্দোলন কর্মীরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দলকানা কর্ণধাররা না বোঝার ভান করে থাকে। বিনিময়ে তারা তাদের ‘অধ্যক্ষ’ ‘ভিসি’ পদ সুরক্ষিত রাখেন। তবে ইডেন কলেজের ঘটনা এ ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর তা হচ্ছে, ‘ছাত্রীদের যৌন শোষণের মাধ্যমে পকেট ও নেতৃত্বের প্রোফাইল ভারি করা’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দলীয় কোন্দলের ফলে ফাঁস হওয়া কাহিনীগুলো আমাদের নারী আন্দোলন কর্মীদের সংক্ষুব্ধ করেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সত্য-মিথ্যা বের করে আনার মতো সাহসী কাজটা শুধু বিচার বিভাগীয় কমিটিই করতে পারবে।তাই আমরা চাই এর তদন্ত বিভাগীয় কমিটির মাধ্যমেই হোক।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা নারী আন্দোলন কর্মীরা হলেন-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. নাসরিন খন্দকার, আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া, চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা আদিবাসী অধিবার সুরক্ষাকর্মী রাণী য়েন য়েন, ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক নাজনীন শিফা, মানবাধিকার কর্মী ও থাইল্যান্ডের মাহিডল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজিনা বেগম, লেখক ও গবেষক পারসা সানজানা সাজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজলী শেহরীন ইসলাম, লেখক ও গবেষক সায়েমা খাতুন, আলোকচিত্রী ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, শিক্ষক ও পিএইচডি গবেষক শ্যামলী শীল, যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সাদাফ নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফা, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট দিলশানা পারুল, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. নাসরিন সিরাজ, শিক্ষক ও নোয়াখালী নারী অধিকার'র সভানেত্রী লায়লা পারভীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক শিল্পী বড়ুয়া, কানাডার ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক হানা শামস আহমেদ, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ এবং সাংবাদিক ও গবেষক ড. সায়দিয়া গুলরুখ।