ঢাকা, শনিবার ১৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ০:৫৬:০২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ সাজিদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল, দাফন সম্পন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার

মাদারীপুরে ছয় মাস স্কুলে অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ১৪৫ নম্বর পশ্চিম শশিকর ওয়াপদারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তমা রায়। ছবি : সংগৃহীত

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ১৪৫ নম্বর পশ্চিম শশিকর ওয়াপদারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তমা রায়। ছবি : সংগৃহীত

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ১৪৫ নম্বর পশ্চিম শশিকর ওয়াপদারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তমা রায় প্রায় ছয় মাস ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, তিনি স্বপরিবারে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। ছুটি না নিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষিকা তমা রায় গত ২৩ মার্চ থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। স্কুলটিতে পাঁচটি  শিক্ষকের পদ রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা তমা রায় অনুপস্থিত এবং একজন সহকারী শিক্ষক চিকিৎসাজনিত ছুটিতে আছেন। ফলে শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চলছে তিন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে।

এদিকে, প্রধান শিক্ষক তমা রায়ের সন্ধানে তার গ্রামের বাড়ি গেলে তাকে ও তার পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি। একাধিক গ্রামবাসি জানায়, তমা রায় স্বপরিবারে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তমা রায় স্বপরিবারে ভারতে চলে গেছেন। 

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সরকার বলেন, গত ২৩ মার্চ চিকিৎসার কথা বলে চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রধান শিক্ষক আর স্কুলে আসেননি। তিনি কোনো ছুটির দরখাস্তও করেননি। আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনো খোঁজ পাইনি। তাকে অনেকবার ফোনও করা হয়েছে কিন্তু তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনিও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। 

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমরা শিক্ষা অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের প্রধান শিক্ষকের নিরুদ্দেশ হওয়াটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংকট রয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান যথাযথভাবে করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি এবং এ পর্যন্ত তিনটি শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছি। এখন আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এ বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমীন ইয়াছমীন বলেন, প্রধান শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।