ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮, এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫০:৫১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রাবিতে জমে উঠেছে পিঠার আড্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে শীতের আমেজ। শীতের আগমনী বার্তায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোকেয়া হলের সামনে জমে উঠেছে পিঠার আড্ডা। সন্ধ্যা হলেই সেখানে পিঠা খেতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। তবে দোকানিরা চড়া দামে পিঠা বিক্রি করছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুল মাঠ, খালেদা জিয়া হলের সামনে এবং রোকেয়া হলের সামনে পিঠার দোকান বসলেও সবচেয়ে বেশি জমে উঠেছে রোকেয়া হলের সামনের দোকানগুলোতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন রকম পিঠা পাওয়া যায় ওই দোকানগুলোতে। তার মধ্যে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠাসহ নানারকম পিঠার স্বাদ নিতে শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগেই থেকে ক্যাম্পাসের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে। তবে এসব দোকানের পিঠার দাম ও মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। চিতই পিঠা আগে পাঁচ টাকা বিক্রি হলেও এখন বাড়িয়ে আট থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভাপা পিঠায় আট টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলের পিঠাও চড়া দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আগে ১০ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পিঠার সঙ্গে ভর্তার জন্যেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। প্রতি ভর্তার বাটি ১০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা।

অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের আটা ব্যবহার করেও চড়া দাম রাখছেন দোকানিরা। ফলে মান নিয়েও হতাশ শিক্ষার্থীরা। নিম্নমানের আটা ব্যবহার করার ফলে পিঠা তৈরির পর মাঝখান শক্ত থাকে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। ফলে পুরো পিঠা না খেয়ে কোনো কোনো শিক্ষার্থীকে ফেলে দিতে দেখা গেছে।


সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রুমানা ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের মাঠে দোকান হওয়ায় তাদের কোনো ভাড়া দিতে হচ্ছে না। তবুও চড়া দাম রাখছে কেন, সেটা আমার বোধগম্য না। বাইরের তুলনায় এখানে প্রতি পিঠায় রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত দাম। আবার পিঠার সঙ্গে ভর্তা খেতেও দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১০ টাকা।


লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, আমার পড়াশোনা শেষ হওয়ায় আমি ঢাকায় চাকরি করি। ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসে বন্ধুদের নিয়ে পিঠা খেতে আসলাম। এসে দেখি পিঠা তৈরির অবস্থা খুব বাজে। পিঠার দাম রাখা হচ্ছে বেশি এবং দামের তুলনায় মান একেবারে নিম্নমানের।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আয়েশা নাজনিন কেয়া বলেন, গতবছর যেখানে পিঠার দাম ছিল অনেক কম। এবছর তার দিগুণ করা হয়েছে। চিতই পিঠায় চিনি তেল লাগছে না তবুও তারা আট টাকা করে বিক্রি করছেন। ভাপা পিঠা বাইরে যেখানে ৫-১০ টাকা সেখানে ক্যাম্পাসে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। আমরা প্রশাসনে সুনজর চাই।

এসব বিষয় জানতে চাইলে এক পিঠা বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েছে। তাই পিঠার দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে। পিঠার মধ্যে বিভিন্ন উপাদান দেওয়ায় তাদের খরচ বেশি হচ্ছে।

তিনি বলেন, লাকড়ির দাম অনেকাংশে বেড়েছে যার কারণে সবরকম পিঠায় আগের থেকে দাম বাড়ানো হয়েছে।