ঢাকা, শুক্রবার ১২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:১৬:১৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ সাজিদের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল, দাফন সম্পন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ছবি নামিয়ে ফেলায় অপমানিত বোধ করেছি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উপদেষ্টা পরিষদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন সচিবালয় থেকে ৪ জনকে নেওয়া হলো পুলিশি হেফাজতে গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার

মার্টিনেজ বীরত্বে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩২ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস আটকে গিয়েছিল রোমেরোর কাছে। আর ২০২২ এ সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শ্বাসরূদ্ধ ১২০ মিনিট শেষে ২০১৪ সালের পর আরও একবার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
যে নাটকীয়তায় আগের ম্যাচে বিদায় নিল শিরোপা প্রত্যাশি ব্রাজিল। সেই নাককীয়তার টাইব্রেকে সেমিতে উঠলো লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে তারা। প্রথম সেমিতে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। 

দুই দলের একাদশেই ছিল পাঁচজন করে ডিফেন্ডার। যেন গোল করতে না পারি, হজম করব না—এই পণ করেই মাঠে নেমেছিল দুই দল। সেন্টারব্যাক তিনজন আর দুজন করে উইংব্যাক। নেদারল্যান্ডসের একাদশ রীতিমতো আগের ম্যাচের মতোই। ফর্মেশনও। কিন্তু প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনার একাদশে তিন সেন্টারব্যাক, রোমেরো, মার্তিনেজ ও ওতামেন্দিকে নিয়ে একাদশ সাজান লিওনেল স্কালোনি।
দুই দলই বলের দখল নিয়ে গুছিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করছিল ক্ষণে ক্ষণে। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা আসে পাঁচ মিনিটে। ডাচ ফরোয়ার্ড মেমফিস দিপাইয়ের লুস বল কেড়ে নেয় আর্জেন্টাইন রাইটব্যাক মলিনা। ডান প্রান্ত থেকে উঠে যান ডি-বক্সের দিকে। রদ্রিগো দি পলকে বাড়ানো বল অবশ্য রুখে দেন ডাচ ডিফেন্ডার নাথানিয়ান আকে।
প্রথমার্ধের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তটি আসে ৩৬ মিনিটে। বক্সের কিছু দূর সামনে বল পেয়ে যান লিওনেল মেসি। নাথানিয়েন আকেকে অতিক্রম করে বক্সের ভেতর ঢুকে গেলে তাঁকে ধরে ফেলে আরও দুই ডিফেন্ডার। তাদের বোকা বানিয়ে বল বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা রাইটব্যাক মলিনার দিকে। আর দারুণ ফিনিশিংয়ে আর্জেন্টিনাকে ১-০তে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি।
৪০ মিনিটেও গোলের দেখা পেতে পারতেন আলভারেজ। মেসির থেকে পাওয়া বল আলভারেজের দুর্বল শট গিয়ে পড়ে ডাচ গোলরক্ষক নোপার্টের হাতে।

৪৫ মিনিটে আর্জেন্টাইন বক্সের বাঁ প্রান্তে রোমেরো হ্যান্ডবল করলে ফ্রি-কিক পায় নেদারল্যান্ডস। কোডি গাকপোর ফ্রি কিক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ রক্ষা করেন।
৭১ মিনিটে বক্সের মধ্যে লেফটব্যাক আকুনাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। এবার আর কোনো ভুল করেননি মেসি। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
৮৩ মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম গোলের দেখা পায় নেদারল্যান্ডস। ডান প্রান্ত থেকে লম্বা করে বক্সে ফেলা স্টিভেন বের্রহোইসের শটে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান ভাউট ভেগহোর্স্ট।
নেদারল্যান্ডসের গোলের পর ম্যাচে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। কিছুক্ষণ পর পর দেখা যায় হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ি। একবার হাতাহাতিও হয়। নেদারল্যান্ডস যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। দেখা যায় নতুন এক বিধ্বংসী ডাচ দলকে। সেই ডাচরাই নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে করলেন সমতাসূচক গোল। টন কমপাইনার্সের ফ্রি-কিক থেকে দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ভাউট ভেগহোর্স্ট।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে একাধিক গোলের সুযোগ হারিয়েছে দুই দলই। আর তার খেসারত দিতে হলো টাইব্রেকারে। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ডাচদের প্রথম দুই শট ঠেকিয়ে আবারও নায়ক বনে গেলেন। প্রথম দুই শট ফিরিয়ে দেওয়ায় ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।