জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে দেশের সব খাতে। বেড়ে গেছে প্রায় সব পণ্যের দাম। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে চালের। এর মধ্যে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা, আর চিকন চালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্রয়লার মুরগি, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) গাজীপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা।

হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন, পামঅয়েল ও ডিমের দাম। সপ্তাহ ঘুরতেই খোলা সয়াবিন তেল ও পামঅয়েল কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং ডিমের ডজন ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে।

রেমিট্যান্স আনতে নানা ছাড় ও সুবিধা দেওয়ার পর ইতিবাচক সাড়া মিলছে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কো‌টি ৩০ লাখ ( ৮১৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে

ট্রাক ভর্তি করে আসছে চাল, নামছে গুদামগুলোতে। এত চাল মজুত থাকার পরও দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খাতে খরচ বেড়ে গেছে।

দেশে চলছে ডলার সংকট। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করতে পারছে না। মানি এক্সচেঞ্জগুলোতেও নেই ডলার। তবে মানি এক্সচেঞ্জগুলো গ্রাহকের কাছে সময় নিয়ে ডলার সরবরাহ করছে।

প্রতিদিনই বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। দামের কথা শুনে খুচরা বাজারের ক্রেতাদের চোখ কপালে। যাদের খুব বেশি প্রয়োজন তারা কিনছেন, কিন্তু পরিমাণে অল্প।

ভরা মৌসুমেও পটুয়াখালীতে ইলিশের দেখা মিলছে না। ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে প্রথম দিকে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়লেও এখন ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জনজীবনে। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে মাছ-মাংস ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ হাঁসফাঁস করছে।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারতের সঙ্গে সব ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত মধ্যে পাসপোর্ট ধারী যাত্রীদের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে।

জ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। একদিনের ব্যবধানে বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে।

জ্বালানি তেল ও বাসভাড়া বাড়ানোর পর এবার সয়াবিন তেলের দামও বাড়তে যাচ্ছে। লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে ভারতীয় কাঁচা মরিচের কেজি ১৬০ টাকা। গতকাল দেশি কাঁচা মরিচ প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছিলো ২২০ টাকা দরে।

দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ফের বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

উৎপাদন নষ্ট এবং সরবরাহ কমার অজুহাতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২ হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রতি দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কোনো লাগামনেই। নিয়ন্ত্রণ করারও কেউ নেই যেন। যে যেমন ইচ্ছে দাম হাঁকছে।আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রাজধানীর নিউ মার্কেট, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সরু দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

বাংলাদেশ থেকে গত মাসে (জুলাই) ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) মাসিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়া‌নোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভা‌লো মা‌নের সোনার দাম ভরিতে বাড়া‌নো হ‌য়ে‌ছে ১ হাজার ৫০ টাকা।

টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে এক কোটি মানুষের মধ্যে বিক্রির জন্য ৩ কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এজন্য ব্যয় হবে ৪৪৮ কোটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

দুই হাজার ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

জুলাই মাসে ২০৯ কো‌টি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স পা‌ঠি‌য়ে‌ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ডলারের বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এই অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।