ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৯:২৯:১৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

জালিকাট্টুর ষাঁড়ের জন্য বিয়ে করবেন না সেলভারানি

বিবিসি অনলাইন | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০৪:২১ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার

এ পৃথিবীতে কত রকম খেলা আছে, আর কত রকম যে ইচ্ছে আছে মানুষের মনে! ভারতের এক নারীর তেমনই ইচ্ছের কথা জানিয়েছে বিবিসি।



বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে সেলভারানি কানাগারাসু নামে এক মহিলা জালিকাট্টু খেলার ষাঁড়ের যত্ন নেবার জন্য জীবনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


জালিকাট্টু হচ্ছে তামিলনাড়ুর শত শত বছরের পুরোনো একটি খেলা যা জানুয়ারি মাসে পোঙ্গল নামে ফসল-ওঠার উৎসবের সময় অনুষ্ঠিত হয়। ষাঁড়ের শিংএর সাথে নানা রকম পুরস্কার বেঁধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় - আর হাজার হাজার লোকে ষাঁড়টিকে তাড়া করে সেগুলো খুলে নেবার চেষ্টা করে। এ সময় ধাবমান ষাঁড়ের গুঁতোয় বা খুরের আঘাতে বহু লোকের মৃত্যুও হয়।


সেলভারানির বয়েস এখন ৪৮, তার পোষা ষাঁড়টির নাম `রামু` - এবং সে পাঁচ বার জালিকাট্টুর শিরোপা জিতেছে। এ ক্ষেত্রে রামু এখন `কিংবদন্তীর` মর্যাদা পাচ্ছে।


প্রতিযোগিতার নিয়ম হলো, কেউ যদি ষাঁড়ের কাঁধ ধরে ঝুলে থেকে ১৫-২০ মিটার পার করতে পারে বা ষাঁড়ের তিনটি লাফ টিকে থাকতে পারে - তাহলে সে জয়ী হয়। কেউ তা না পারলে ষাঁড়টিই জয়ী হবে।


সেলভারানির পিতা এবং পিতামহও জালিকাট্টুর ষাঁড় পালন করতেন। সেলভারানি কিশোরী বয়েসেই সিদ্ধা্ন্ত নিয়েছিলেন যে তিনিও এ কাজই করবেন।


তামিলনাড়ুতে মাঝখানে দু`বছরের জন্য জালিকা্ট্টু নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট - প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণ দেখিয়ে। কিন্তু এ নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে কেন্দ্রীয় সরকার এটা আবার চালু করার অনুমতি দেয়।


সেলভারানি কানাগারাসু বলেন, আমার বাবা ও দাদু দুজনেই জালিকাট্টুর ষাঁড় পালতেন, এবং সেটাকে তাদের সন্তানের মতোই মনে করতেন।


কিন্তু সেলাভারানির দুই ভাই জালিকাট্টুর ব্যাপারে উৎসাহী না হওয়ায় নারী হয়েও তিনিই এই পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।


রামুর বিজয়ের জন্য সেলভারানি পুরস্কার হিসেবে সিল্কের শাড়ি এবং স্বর্ণমুদ্রা পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি বলেন, `রামু আমার সন্তানের মতো। যে শুধু আমাকে পুরস্কার এনে দিয়েছে তাই নয় - আমার পরিবারকে সম্মানও এনে দিয়েছে।`