ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৬:০৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

দেবিকা পথ দেখাতে চান সালমাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০২:৪৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ হয়ে এসেছেন দেবিকা পালশিখর। আজ বুধবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক এই সহকারী কোচ। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তার।


ক্রিকেটে তার হাতেখড়ি ১৯৯৮ সালে। ভারতের হয়ে খেলেছেন একটি টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে। ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছেন ২০০৮ সালে। তবে ক্রিকেট থেকে দূরে সরেননি তিনি। শুরু করেন কোচিং। ২০১৪-২০১৫ পর্যন্ত পালন করেছেন ভারতের নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব।

 

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই। তবে কৌশলগত আর দলীয় চেষ্টার অভাব দেখছেন দলের নতুন সহকারি কোচ দেবিকা পালশিখর। খণ্ডকালীন দায়িত্ব নিয়ে সেই ভুলগুলোই শোধরে দিতে চান।

 

আজ মিরপুরে দলের অনুশীলনে এসে জানিয়েছেন এই দল নিয়ে নিজের ভাবনার কথা, ‘গত ছয় সাত বছর ধরে আমি বাংলাদেশ দলকে দেখেছি। তাদের মধ্যে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস আছে। আমার মনে তাদের মধ্যে কিছুটা কৌশলগত ও দলীয় প্রচেষ্টার অভাব আছে।’

 

তিনি বলেন, এত বছর আমি তাদের দূর থেকে দেখেছি। এখন দেখব কাছ থেকে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এখনই তাদের বিষয়ে মন্তব্য করলে সেটা অনেক দ্রুত হয়ে যায়। একটা বা দুইটা বছর কাজ করলে হয়তো বুঝতে পারব।

 

গেল কয়েক বছরে নারী ক্রিকেটারদের সাফল্যের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী নয়। নিয়মিত সাফল্য পেতে আরও সময়ের দরকার বলে মনে করেন দেবিকা।

 

‘আপনি যখন আরো বড় জায়গায় খেলতে যাবেন, আপনাকে মানসিকভাবে আরো শক্ত হতে হবে। গত ছয় সাত বছরে তারা যা করেছে, তা ভালো। তবে আরো উঁচু পর্যায়ে যেতে তাদের আরো সময় দরকার।’

 

মেয়েদের বোলিং-ফিল্ডিং চলনসই হলেও ভোগাচ্ছে ব্যাটিং। বড় শট খেলতে না পারার দুর্বলতার সঙ্গে ক্রিজে টিকে থাকা নিয়েও আছে প্রশ্ন। নতুন সহকারি কোচের মতে ফিটনেসের উন্নতিতে মিটতে পারে এই সংকট।

 

‘যদি এমন হয় তারা বল ৩০ গজও পার করতে পারছে না, তার মানে তাদের পাওয়ার হিটিং দক্ষতা প্রয়োজন। এখানেও সেই ফিটনেসের কথা চলে আসে। তাদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে হবে।’

 

আমার মনে হয় তাদের মধ্যে খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। তাদের এখন কেবল সঠিক পথটা দেখিয়ে দিতে হবে। যাতে তারা সামনে এগোতে পারে।

 

দেশের ক্রিকেটারদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিমে  সালমা আছে। জাহানারা আছে, সে অধিনায়কত্বও করেছে। দুই-তিনজন আছে। আরও যারা আছে, তাদের সাথে মিশতে হবে। তাদের দেখতে হবে।

 

দেবিকার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়েদের আছে আরও অনেক খেলা। তিন বছর ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা দেবিকা এই সময়ের মধ্যেই উন্নতি আনতে আত্মবিশ্বাসী, ‘উন্নতি যে হবে, সেটা আমি নিশ্চিতভাবেই আশা করতে পারেন। ফলাফলটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না। তারা যদি প্রসেস ঠিক রাখে, ফলাফলটা আসলে কারো হাতে নেই।’

 

দেবিকার জানান, সব মিলিয়ে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে তার। ১০ বছরের এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জাহানারা-রুমানাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান দেবিকা। এগিয়ে নিয়ে যেতে চান বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটকে। তাদের হাঁটাতে চান সঠিক পথে, দিতে চান সুদিনের বার্তা।