ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩, ডিসেম্বর ২০২৫ ৫:২৪:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
‘সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে’ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভিসা সেবা বন্ধ ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘না রাখতে’ দেওয়ার হুমকি শুভেন্দুর ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা

মে-তে রাশিয়ায় পথশিশুদের বিশ্বকাপ

খেলাধুলা ডেস্ক | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ১২:৪৯ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৮ রবিবার

আগামী জুন মাসে রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে। তার আগে মে মাসে রাশিয়াতেই শুরু হচ্ছে পথশিশুদের ফুটবল বিশ্বকাপ। ২৪টি দেশের দুশোরও বেশি শিশু এতে অংশ নেবে। এর আগে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং ২০১৪ সালে ব্রাজিলে এই বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছিল।

 

প্রথম বিশ্বকাপে দলগুলো ছেলে আর মেয়েদের একসঙ্গে তৈরি করা হয়েছিল। পরের বিশ্বকাপ থেকে ছেলে আর মেয়েদের আলাদা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার ছেলেদের বিভাগে বুরুন্ডিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল তানজানিয়া। আর মেয়েদের গ্রুপে সেরা হয়েছিল ব্রাজিল, ফিলিপাইনসকে হারিয়ে।

 

পথশিশুদের অধিকার সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন করতে এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা স্ট্রিট চাইল্ড ইউনাইটেড। খেলার পাশাপাশি ঐ সময়ে শিশুদের অধিকার নিয়ে সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারের পথশিশু বিশ্বকাপে ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকোসহ ২৪টি দেশ অংশ নিচ্ছে।

 

মেক্সিকোর নারী দলের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন খালিদা পপাল। একসময় তিনি আফগানিস্তানের নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। সেসময় নারী ও মেয়েদের ফুটবল প্রসারে কাজ করেছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে পুরুষদের অনেক কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে পপালের। এরপর একসময় তালেবানের হুমকি পেয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

 

এখন বাস করেন ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে। সেখানে গার্ল পাওয়ার অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠন চালু করেছেন। এই সংগঠন ফুটবল ও খেলাধুলার মাধ্যমে অভিবাসী, এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষসহ সংখ্যা লঘুদের সমাজে ভালভাবে ইন্টিগ্রেটেড হতে সহায়তা করে। তার এখনকার জীবনযাপনের সঙ্গে পথশিশুদের জীবনের মিল খুজে পান পপাল। প্রশিক্ষণ নেওয়া মেয়েদের জন্যও পপালের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছে।

 

১৫ বছরের জাজমিন বলছে, তার (পপাল) ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনেকটা আমাদের মত। খুবই কঠিন। কিন্তু তারপরও তিনি এগিয়ে গেছেন।

 

জাজমিনসহ প্রায় একশোর বেশি শিশুকে সহায়তা দিয়ে থাকে মেক্সিকোর বেসরকারি সংস্থা কাসা আলিয়াঞ্জা। এদের অনেকেই সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও পাচারের শিকার হয়েছে। বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া নারী দলের সদস্যরা এই সংস্থা থেকে সহায়তা পেয়ে থাকে।

 

জাতিসংঘের হিসেবে, বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় দেড় মিলিয়ন শিশু রাস্তায় বাস করছে।