৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালি ভূমিকম্পের ১৩৫ ঘন্টা পার হলেও তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। দুই দেশে এখনও পর্যন্ত ২৯ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার ছয় দিন পর রোববার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও জীবিত মানুষ বের করে এনেছে উদ্ধারকারীরা।

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে, ভূমিকম্পের ছয়দিন পরেও অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যেই ক্ষমতার ১৮ মাসের মাথায় পদত্যাগ করলেন মলদোভার পশ্চিমা-পন্থি সরকার। শুক্রবার দেশের আকাশে একাধিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র উড়তে দেখার পরেই তড়িঘড়ি করে প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

গত কয়েক দশকের ভয়াবহতম ভূমিকম্পের পর গত ৫ দিনে তুরস্ক ও সিরিয়া থেকে মোট ২৩ হাজার ৭১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ২২৩ জনের মরদেহ এবং সিরিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।

সময় যত গড়াচ্ছে ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকাদের জীবিত উদ্ধারের আশা। তারপরও উদ্ধারকরীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জীবিত উদ্ধারের। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৪ দিন।

তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। কেবল তুরস্কেই মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৪ জন। সিরিয়ায় নিহতেরসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৬২ জনে।

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ও পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের হাজারো তাজা ছবি তুলে আনছেন ফটোসাংবাদিকরা।

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন। ২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য উদার নীতিমালা প্রণয়নের কারণে তাকে এই সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।

তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৮০০ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও জানায়, তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আড়াই কোটির বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর। প্রায় দুই হাজারের মতো ভবন ধসে পড়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে, দুই দেশে মোট ৫ হাজার ২১ জন মারা গেছেন।

তুরস্কের আঙ্কারা প্রদেশের আনাতোলিয়া অঞ্চলে গোলবাসি শহরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

ক্রমশ বেড়েই চলছে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৪ হাজার ৩৬৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তুরস্কেই মারা গেছেন ২ হাজার ৯২১ জন।

প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে সোমবার ভোরে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রতি মিনিটেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, এখন পর্যন্ত সিরিয়া ও তুরস্কে কমপক্ষে ১ হাজার ৮০০ জন নিহত  হয়েছেন।

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং সিরিয়াযর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে উভয় দেশের ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে।

তুরস্কের নূরদাগি শহরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় তুরস্ক ও সিরিয়ায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আটশ জনে।

৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে সিরিয়া ও তুরস্কে অন্তত ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে ৭৬ জন তুরস্কের আর সিরিয়ায় ৯৯ জন।

তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশে নূরদাগি শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে অনন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অনেকেই আহত হয়েছেন।

৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পুরো তুরস্ক। স্থানীয় সময় সোমবার ৪টা ১৭ মিনিটে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন রাজধানী আঙ্কারাসহ তুরস্কের সব অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির বিভিন্ন স্থানে শতাধিক দাবানলে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দাবানলের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯৭৯ জন।